আমিন হাসান: ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ভেন্যুর নাম ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে ফিফা। বিশ্বকাপের পরবর্তী এই আসরের আয়োজন করতে যাচ্ছে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। আগামি আসরে অংশ নেবে ফিফার প্রথম ৪৮টি দল। ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে বদলে যাচ্ছে ফুটবলের বিশ্ব আসরের চেহারা।

শেষ কয়েকটি আসর বসেছিল ৩২ দল নিয়ে। যাতে বিশ্বকাপে খেলা হতো ৬৪ ম্যাচ। আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে দল বাড়ছে ১৬টি। টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ফিফার প্রথম ৪৮টি দল। যার ফলে বাড়ছে ম্যাচসংখ্যাও। খেলা হবে ৮০টি ম্যাচ।

সেজন্যে শেষ চারটি বিশ্বকাপের তুলনায় ২০২৬ আসরে ভেন্যুর সংখ্যাও বাড়াতে হয়েছে ফিফাকে। খেলা হবে মোট ১৬টি ভেন্যুতে।

আগামী বিশ্বকাপের জন্য ১১টি আমেরিকান ভেন্যু নির্বাচন করা হয়েছে। কানাডার দুটি শহর টরেন্টো এবং ভ্যাঙ্কুভার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলা আয়োজন করবে। আর ১৯৭০ এবং ১৯৮৬ পর মেক্সিকান মেক্সিকো সিটি এবং গুয়াদালাজারা তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

আয়োজনের দায়িত্বে মেক্সিকো আর কানাডা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রই থাকছে মূলে। তবে এত সব ভেন্যুর ভিড়ে জায়গা হয়নি ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের ভেন্যু রোজ বোলের। আবেদন করেও বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায়নি ভেন্যুটি। তবে সেই শহরে ঠিকই খেলা হবে বিশ্বকাপের। বেছে নেওয়া হয়েছে সোফি স্টেডিয়ামকে।

এক নজরে ২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যু :
যুক্তরাষ্টের ১১টি স্টেডিয়ামের মধ্যে রয়েছে,
আটলান্টা – মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়াম
বোস্টন – জিলেট স্টেডিয়াম
ডালাস – AT&T স্টেডিয়াম
হিউস্টন – এনআরজি স্টেডিয়াম
কানসাস সিটি – অ্যারোহেড স্টেডিয়াম
লস এঞ্জেলেস – সোফি স্টেডিয়াম
মিয়ামি – হার্ড রক স্টেডিয়াম

নিউ ইয়র্ক/নিউ জার্সি- মেটলাইফ স্টেডিয়াম
ফিলাডেলফিয়া – লিঙ্কন আর্থিক ক্ষেত্র
সান ফ্রান্সিসকো – লেভির স্টেডিয়াম
সিয়াটেল – লুমেন মাঠ

কানাডার ২টি স্টেডিয়াম হল,
টরন্টো – বিএমও মাঠ
ভ্যাঙ্কুভার – বিসি মাঠ

মেক্সিকোর ৩টি স্টেডিয়াম যথাক্রমে,
গুয়াদালাজারা – এস্তাদিও অ্যাকরন
মেক্সিকো সিটি – এস্তাদিও অ্যাজতেকা
মন্টেরে – এস্টাডিও বিবিভিএ। সূত্র : এনবিসি স্পোর্টস