অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে টরন্টো ফিল্ম ফোরাম নির্মিত ‘আমার ৫০’ প্রামাণ্যচিত্রটি বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এক মাসব্যাপী বাংলাদেশে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে টরন্টো ফিল্ম ফোরাম। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগী দেশ প্রেমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য টরন্টো ফিল্ম ফোরাম ‘আমার ৫০’ (Golden Jubilee of Bangladesh) নামে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। প্রামাণ্যচিত্রে উঠে এসেছে প্রায় কুড়ি বছর টরন্টোতে বাস করা একজন বাংলাদেশীর গত ২৬শে মার্চের ঘটনা। ১৯৭১ সালের বালক ফয়েজ নুর ময়না প্রবাস জীবনে বাংলাদেশকে সব সময় গভীরভাবে অনুভব করে। সেজন্য তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনটি একবারে নিজের মত করে পালন করতে চেয়েছিলেন। সেদিন একবারে ভোরে তিনি তার গাড়ীতে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা লাগিয়ে বের হয়ে পড়েন টরন্টোর পথে পথে। টরন্টোর পথ থেকে তিনি চলতে থাকেন মার্কখাম, মিসিসাগা আর ব্রামটন শহরের পথে। এই চারটি শহরে বাস করা তার পরিচিত পাঁচ জন মুক্তিযোদ্ধার কাছে তিনি ছুটে যান। তাঁদের কথা শুনেন। তারপর সবাইকে নিয়ে আসেন অন্টারিও লেকের পাড়ে নিজেদের এক মিলনমেলায়। পাঁচ জন মুক্তিযোদ্ধার কথা শুনে আর তাঁদের সাথে দিনটা কাটিয়ে ফয়েজ গভীরভাবে অনুভব করেন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে আর অসংখ্যা নাম-না-জানা মানুষের জীবনের চরমতম ত্যাগকে। ৩৫ মিনিটের এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে মূলত উঠে এসেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটা সময়কাল আর দেশ-মা’কে রক্ষা করার জন্য সেই দুঃসময়ের সাহসী সন্তানদের জীবন-সংগ্রাম।
‘আমার ৫০’ প্রামাণ্যচিত্রের পাঁচ জন মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন, সৈয়দ লুৎফর রহমান, এম আর জাহাঙ্গীর, শওকত হোসেন, সালাউল্লাহ সাকী এবং আকবর কবির। বাংলাদেশের বিজয়ের পঞ্চাশ বছরের মাহেন্দ্রক্ষণে প্রামাণ্যচিত্রটি মূলত প্রদর্শিত হবে প্রামাণ্যচিত্রে উপস্থাপিত মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতি বিজড়িত এলাকায়। টরন্টো ফিল্ম ফোরামের প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশে ‘আমার ৫০’ এর মাসব্যাপী প্রদর্শনীর জন্য বাংলাদেশে অবস্থান করবেন বাংলা কাগজ এর প্রধান সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এম আর জাহাঙ্গীর।