অনলাইন ডেস্ক : মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে কানাডায় এক মিলিয়নেরও বেশি করোনার টিকা ফেলে দেয়া হয়েছে। দ্য কানাডিয়ান প্রেসের অনিয়মিত এক তদন্তে এই তথ্য জানা গেছে।
সারা দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে কানাডিয়ান প্রেসের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হওয়া বা অন্য কোন কারণে মোট কত ডোজ করোনার টিকা নষ্ট হয়েছে? অনেকেই নির্ধরিত সময়ের মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর জানায় নি। অন্টারি স্বাস্থ্য বিভাগ এই তথ্য জানাতে অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে ইয়ুকুন ও প্রিন্স অ্যাডওয়ার্ড আইল্যান্ড শুধুমাত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকার সংখ্যা জানিয়েছে। তাপরও কানাডিয়ান প্রেসের অনিয়মিত এই জরিপে দেখা গেছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনার টিকা দেয়া শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কানাডায় ১০ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৯ ডোজ টিকা ফেলে দিতে হয়েছে। এই সংখ্যা কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলে বিলি করা মোট টিকার ২.৬%। জরিপে দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অব্যবহৃত টিকার হার ভিন্ন ভিন্ন রকমের। যেমন আলবার্টায় এই সংখ্যা ১০%, অন্যদিকে নোভা স্কশিয়ায় মাত্র ০.৩%।
কানাডার মতো একটি দেশে এত বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি এবং টরন্টো গণস্বাস্থ্যের কর্মকর্তা রোজ উপসার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কানাডিয়ান প্রেসের এই জরিপ ফলাফলে তথ্যের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার দুর্বল চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি চিহ্নিহ্নত করেন যে, মেয়াদ শেষের আগে ব্যবহার না করায় যেমন টিকা নষ্ট হয়েছে. তেমনি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারার জন্যও অনেক টিকা ফেলে দিতে হয়েছে।
মেডিসিন সেনজ ফ্রন্টিয়ারের এডাম হাউসটন বলেন, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক লোক এখনো করোনার টিকা পায়নি। আর কানাডায় লাখ লাখ ডোজ টিকা ফেলে দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তিনি সঠিকভাবে টিকা সংরক্ষণ এবং মেয়াদ শেষ হবার আগেই তা ব্যবহারের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানান। সূত্র : দ্য কানাডিয়ান প্রেস
