অনলাইন ডেস্ক : ভয়াবহ তুষারঝড় বম্ব সাইক্লোনে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ২৩ ডিসেম্বর এই ঝড় আছড়ে পড়ে আমেরিকায়। দেখতে দেখতে কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও পরিস্থিতি ভয়াবহ। খোঁজ মেলেনি বহু মানুষের। এখনও অনেকেই আটকে রয়েছেন কোথাও। অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে। অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ঝড়ে বিধ্বস্ত বাফালোর রাস্তাগুলি গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল। তুষারঝড়ের কারণে গত কয়েক দিন এই সব রাস্তা ছিল একেবারেই অবরুদ্ধ। শহরের মেয়র বায়রন ব্রাউন এমনই ঘোষণা করেছেন।

একটি সাংবাদিক সম্মেলনে নিউ ইয়র্কের দ্বিতীয় জনবহুল শহরের মেয়র বলেন, ‘বরফ সরানোর কাজে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরতলির বহু রাস্তা, গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে এবং নায়াগ্রা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খুলে দেয়া হয়েছে।’ বড়দিনের আগেই তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আমেরিকা ও কানাডার বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও বরফের নীচে রয়েছে একাধিক অঞ্চল। প্রতিদিন তুষারপাতের ফলে ঘণ্টায় দুই থেকে তিন ইঞ্চি বেড়ে যাচ্ছে জমে থাকা বরফের পরিমাণ। বাফেলোর গভর্নর কেথি হোচুল বলেছেন, ‘পুরো এলাকা এখন যুদ্ধক্ষেত্রের মতো হয়ে গিয়েছে।’

ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন ১৮ লাখ মার্কিন নাগরিক। প্রায় দেড় লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শোচনীয় অবস্থা আমেরিকার প্রতিবেশী কানাডাতেও। এক লক্ষের বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। ঝড়ের পরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি ও তুষারপাত হয়েছে আমেরিকায়। হিমাঙ্কের ৪৩ ডিগ্রি নিচে নামতে পারে দেশের তাপমাত্রা, এমনটাই অনুমান স্থানীয় আবহবিদদের।

সব মিলিয়ে ১৯৭৭ সালের ঐতিহাসিক তুষারঝড়ের পর এমন বিপর্যয় আর দেখা যায়নি বলেই মত আবহাওয়াবিদদের। তবুও এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব রকম প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। সূত্র: এপি।