অনলাইন ডেস্ক : কানাডার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন ইভেস ডুকলোস বলেছেন, উচ্চ মাত্রায় সংক্রমক করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় কানাডিয়ানদের বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হবে। এখন বিদেশ ভ্রমণের উপযুক্ত সময় নয়। অটোয়া প্রশাসন দেশবাসীকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে। ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট সংক্রমণ ঠেকাতে মন্ত্রী ডুকলোস আরো বলেন, ফেডারেল সরকার ভ্রমণ নির্দেশিকা পরিবর্তনের কথা ভাবছে। বিশ্বব্যাপি ওমিক্রন যেভাবে বিস্তার লাভ করছে তাতে আমরা শঙ্কিত। তাই আমি স্পষ্টভাবে বলছি- এখন ভ্রমণের সময় নয়। বড় দিনের ছুটিতে আগামী দিনগুলোতে হাজার হাজার কানাডিয়ান বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। অনেকে বিমানের টিকেটও বুকিং করে রেখেছিলেন। এখন নতুন সরকারি নির্দেশনায় তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হবে। এতে কিছু ভ্রমণ বীমা নীতিও বাতিল হতে পারে।
ডুকলোস বলেন, ক্রিস্টমাসের পূর্বমুহূর্তে এ ধরনের নতুন নির্দেশনা একটু ‘কঠিন হলেও এছাড়া আমাদের কিছু করার ছিল না। জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টিকেই আমাদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, নতুন সংক্রমণের হার খুবই বেশি। অনেক দেশ ইতোমধ্যে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে চলে গেছে। অনেকে ফ্লাইট কমানো এবং ক্ষেত্র বিশেষে বাতিলের কথা ভাবছে। মোট কথা বিদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই আমাদেরকে মানুষের মঙ্গলের কথা ভেবেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এ দিকে বিদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি বিদেশ থেকে কানাডায় আগতদের জন্যও নতুন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বিমান বন্দরগুলোতে সব যাত্রীর করোনা পরীক্ষা আবার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরিরবহন মন্ত্রী ওমর আলঘাবরা বলেন, সরকার পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে। যখনই মনে হবে যে, নীতির পরিবর্তন করা দরকার তখনই তা করা হবে। হোটেল কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি একথা বলেন। সমস্ত বিকল্প ব্যবস্থাই সরকারের বিবেচনায় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সরকার শুধু করোনা টেস্ট আর বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করার মধ্যেই আছে। তবে প্রয়োজন হলে যে কোন কঠোর ব্যবস্থা যে কোন সময় চালু করার নির্দেশনা আসতে পারে। মন্ত্রী আরো বলেন, জনগণ এসব নির্দেশনা পছন্দ করুক বা না করুক আমাদেরকে অবশ্যই বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করতে হবে।
টিকা নেয়ার সুফল সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত আকাশ পথে কানাডায় আসা আড়াই লাখেরও বেশি যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে যারা ছিল ফুল ভ্যাকসিনেটেড। তাদের মধ্যে মাত্র ০.১৪% করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে। অন্যদিকে টিকা না নেয়া বা একটি টিকা নেয়া যাত্রীদের শরীরে এর প্রায় ৫ গুণ বেশি (০.৬৮%) সংক্রমণ দেখা গেছে। তাই তিনি সবাইকে ফুল ডোজ এবং প্রয়োজনে বুস্টার ডোজ টিকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র : সিবিসি