অনলাইন ডেস্ক : ১৪ আগস্ট ফেসবুকে একটা পোস্ট দেন শাকিব খান। সেখানে তিনি এফডিসিকে বাঁচাতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান। শোককে শক্তি বানিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলে শাকিব প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আরও লেখেন, ‘আপনি শুধু আমাদের কাজের পরিবেশটুকু তৈরি করে দিন, বাকিটা আমরাই তৈরি করে নেব।’ সেই পোস্ট নানা আলোচনার জন্ম দেয়। সেই পোস্ট ধরেই আলাপ হলো শাকিবের সঙ্গে।
শাকিব তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘গুটিকয়েক মানুষ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া স্বপ্নের এই এফডিসিকে দেশের আপামর মানুষের কাছে বিতর্কিত করে চলছে। প্রকৃত শিল্পীদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করেছে। কর্মপরিবেশ নষ্ট করে চলছে। যার বিরুদ্ধে গোটা এফডিসির প্রতিটি সংগঠনই এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যখনই সিনেমায় সুদিন দেখতে পাই, তখনই গুটিকয়েক মানুষ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ইন্ডাস্ট্রিকে পিছিয়ে দেয়।’ বারবার উচ্চারিত এই ‘গুটিকয়েক’ মানুষের নাম জানতে চাইলে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। বলেন, ‘নাম নিচ্ছি না, তাতেই তো ঘরে থাকতে পারছি না। যে কাজ করবে, ওপরে উঠবে, তার পেছনেই লাগবে। ওরা আমার সংসার নষ্ট করেছে, সম্মান নষ্ট করেছে। প্রতিনিয়ত আমার নামে কুৎসা রটাতে ব্যস্ত। কীভাবে আমার ক্ষতি করা যায়, আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করা যায়, সেই চিন্তা তাদের। পৃথিবীর কোনো শিল্পীকে বোধ হয় এতটা হেনস্তা হতে হয় না। আমাকে যতটা হতে হয়েছে। আর নামগুলো তো বলারও কিছু নেই। এই নামগুলো সবাই জানে।’
শাকিব বলেন, এফডিসি হওয়ার কথা ছিল শিল্পচর্চার জায়গা। কিন্তু এখানে নোংরা রাজনীতি আর মারামারি হয়। এফডিসি এখন কোমায় চলে গেছে। এটা এখন অন্ধকার জগৎ। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারও কাছে তাঁর কোনো চাওয়া নেই, জানিয়ে শাকিব বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা পয়সাও চাই না। আমি শুধু চাই, প্রধানমন্ত্রী যেন এফডিসির কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে দেন। বাকিটা আমরাই গড়ে নেব, করে নেব। তিনি আমাদের শিল্পীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাকেন। আমরা সম্মানিত বোধ করি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তিনি ছাড়া আর কারও কাছে আমার কিছু বলার নেই।