Home কানাডা খবর কবে তারা আবার অফিসে গিয়ে কাজ করতে পারবেন

কবে তারা আবার অফিসে গিয়ে কাজ করতে পারবেন

অনলাইন ডেস্ক : হিসাব রক্ষক থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামার, প্রফেসর থেকে অফিস সহকারি এ ধরনের লাখ লাখ কর্মজীবি গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘরে বসে অনলাইনে অফিসের কাজ সারছেন। মহামারির শুরুর পর থেকেই কানাডায় এই অবস্থা বিরাজ করছে। প্রথম দিকে ভ্যাকসিন নিয়ে নানান জটিলতা দেখা দিলেও এখন তা কেটে গেছে। দেশটিতে এখন টিকাদান কর্মসূচী জোরেসোরে এগিয়ে চলছে। আগামী ২৪ জুনের মধ্যে দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক সব নাগরিককে টিকার ১ম ডোজ দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়েছে। আর টিকা প্রদানের হার বৃদ্ধির সাথে সাথে সংক্রমণও কমে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকের প্রশ্ন- আর কতদিন আমরা ঘরে বসে কাজ করব? কবে আমরা আবার অফিসে বা কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করতে পারব?

পাবলিক সার্ভিস অ্যালায়েন্স অব কানাডার কেন্দ্রীয় সভাপতি ক্রিস আয়েলওয়ার্ড বলেন, ২০২০ সালের মার্চ থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই-তৃতীয়াংশ কর্মকর্তা- কর্মচারীই অনলাইনে কাজ সারছেন। তারা কবে আবার কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন তার সঠিক দিনক্ষণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, খাদ্য পরিদর্শক ও সীমান্ত রক্ষীদের মতো কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া বাকি প্রায় সব সেক্টরেই এখনো বাসা থেকে দরকারি কাজ করা হচ্ছে। মহামারি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আমরা কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে পারি না। তাই কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে এই মুহূর্তে আমরা কোন সময় নির্ধারণ করতে পারছি না। তিনি জানান, পি এস এসি প্রতি ২ সপ্তাহ পরপর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ট্রেজারারি বোর্ড অব কানাডা সেক্রেটারিয়েটের সাথে বৈঠক করছে। সর্বশেষ বৈঠকেও সবাইকে গণস্বাস্থ্য কতৃপক্ষের গাইড লাইন মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কর্মস্থলে যোগদানের কোন পরিকল্পনা বা নির্দিষ্ট তারিখ এখন ঠিক করা সম্ভব নয়।
ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার টেলফার স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট প্রফেসর লরেন্ট ল্যাপিয়ার বলেন, সব কাজ বাসা থেকে করা যায় না। এমন কিছু বিষয় আছে যা সম্পন্ন করার জন্য দু’পক্ষের মুখোমুখি বসা প্রয়োজন হয়। দীর্ঘদিন এসব কাজ ফেলে রাখার ফলে জটিলতা বাড়ছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলেও কর্মস্থলে যোগ দেয়ার সুযোগ দিলে এই কাজগুলো সম্পন্ন করা যেত।

অন্যদিকে এক জরিপে দেখা গেছে, অনেকে কর্মস্থলে না এসে ঘরে কাজ করতে পছন্দ করছেন। তারা মহামারি পরবর্তী সময়েও এই ধারা বজায় রাখতে চাইছেন। তাদের যুক্তি এভাবে কাজ করলে অর্থ ও সময়ের অপচয় কম হয় এবং নানান জটিলতা এড়ানো যায়। পি এস এসি প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয় পক্ষের মতামত নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। কাজের গতি, কর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সুবিধা এবং উৎপাদনশীলতা এসব বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কিন্তু সবার আগে আমাদের প্রয়োজন মহামারি নির্মূল করা। সূত্র : সিবিসি নিউজ

Exit mobile version