অনলাইন ডেস্ক : ইরানের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হায়দার মোহাম্মাদি জানিয়েছেন, দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসায় যে সমস্ত ওষুধপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তার সবই এখন দেশে তৈরি করা হচ্ছে।

কিছুদিন আগেও এসব ওষুধের শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো বলে তিনি জানান। কিন্তু এখন ইরানি বিশেষজ্ঞ এবং ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রচেষ্টায় সমস্ত ওষুধ এখন অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত হচ্ছে।

হায়দার মোহাম্মাদি জানান, রেমডেসিভির, ফাভিপিরাভির এবং রিটোনাভির নামের তিনটি ওষুধই আগে আমদানি করা হতো কিন্তু এখন এর সবগুলো ইরানের ভেতরে তৈরি হচ্ছে।
ইরানের ওষুধ কারখানাগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণতায় পৌঁছেছে যার মানে হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে ওষুধ শিল্প এখন অনেক বেশি সক্ষম ও শক্তিশালী অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে গেছে।

তিনি জানান, বর্তমানে ইরান প্রতি মাসে ফাভিপিরাভির ৩০ হাজার উৎপাদিত হচ্ছে যা চাহিদার তুলনায় বেশি।

এদিকে, ইরানে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মানবদেহে পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ের কাজ গত ২৯ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। ইরানে তৈরি এ ভ্যাকসিনের নাম দেয়া হয়েছে কোভিডইরান-বারেকাত এবং প্রথম যিনি স্বেচ্ছায় এই টিকা গ্রহণ করেছেন তার ভেতরে জ্বর কিংবা খিঁচুনির মতো কোনো পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এছাড়া পরবর্তীতে যে আরো চার স্বেচ্ছাসেবী এই টিকা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যেও সন্তোষজনক ফিডব্যাক দেখা যাচ্ছে।