অনলাইন ডেস্ক : অটোয়া প্রশাসন কর ফাঁকিবাজদের কাছ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার আদায়ের পরিকল্পনা শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসিন লিবারেলরা ইতোপূর্বে রাজস্ব আদায়ের একটি বড় উৎস হিসাবে এই খাতকে চিহ্নিহ্নত করে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিলেও এখন পিছুটান দিয়েছে। এতে করে তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কর ফাঁকিবাজদের কাছ থেকে প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার আদায়ের পরিকল্পনায় বাধা পড়ল।
লিবারেলরা গত নির্বাচনের আগে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে ১১.৯ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অন্য ৩টি প্রধান দলও একই ধরনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিলেও এই খাতে লিবারেলদের পরিকল্পনাটি ছিল সবচেয়ে বিস্তৃত। রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য তখন তারা কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কথা বলেছিল।

কিন্তু গত সপ্তাহে ঘোষিত বাজেটে দেখা আচ্ছে যে ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই খাত থেকে মাত্র ১.৩ বিলিয়ন ডলার আদায়ের অনুমান করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে এই খাতে ২.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনার কথা বলা হলেও বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৯১৫ বিলিয়ন ডলার। এতেই অনুমান করা যাচ্ছে কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে ‘ক্র্যাক ডাউনের’ পরিকল্পনা সরকার কতটা শিথিল করেছে।

সংসদীয় বাজেট বিষয়ক কর্মকর্তা ইভেস গিরোক্স বলেছেন, লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা এড়াতে সরকার হয়তো ওই পথ থেকে সরে এসেছে। নতুন একটি খাতে বিশাল বিনিয়োগের পর যথাযথ ফল না পেলে শুধু অর্থের অপচয় হবে। তাই অর্থমন্ত্রী হয়তো কোন ঝুঁকি নিতে চাননি। তিনি আরো বলেন, কোন খাত থেকে কতটা রিটার্ন আসবে তা বিবেচনায় নিয়েই সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হয়।

প্রসঙ্গত, কানাডার শীর্ষ উপার্জনকারিদের এক চতুর্থাংশের বেশি কোন কর প্রদান করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালের সি আর এ সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশটির ছোট ও মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলোর ২০১৪ সালের কর ফাঁকির পরিমাণ ছিল ২.৭ বিলিয়ন থেকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। আর বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ছিল প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ৬.৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭.৯ মিলিয়ন ডলার।

অর্থ বিভাগ বলছে, সরকার করফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। কেননা ২০১৬ সাল থেকে এই খাতে সরকার যত অর্থ ব্যয় করেছে তার প্রায় ৫ গুণ ফেরত পেয়েছে। তাপরও অর্থমন্ত্রী কেন এবার এইখাতে প্রতিশ্রুত অর্থ বরাদ্দ দিলেন না সে বিষয়ে অর্থ বিভাগ কিছু না বললেও সমালোচকেরা বলছেন, সরকার এখনই বড় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যেতে চাইছে না। করোনা পরবর্তী অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সরকার ব্যবসায়ীদের কিছুটা সুযোগ দিতে চাচ্ছে। সূত্র : দ্য গেøাব অ্যান্ড মেইল