অনলাইন ডেস্ক : কলার গুণের শেষ নেই। ফলের মতো এই গাছের প্রায় প্রতিটি অংশই কোনো না কোনোওভাবে ব্যবহার করা যায়। অনেকের হয়তো জানা নেই, কলার মতো এর মোচাও দারুণ উপকারী। এতে শরীরের জন্য উপকারী ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এটি কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।

কলার মোচার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান পুষ্টিগুণে ভরপুর। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত এ খাবারটি রাখতে পারেন। কলার মোচা খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : আজকাল ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে কলার মোচার জুরি মেলা ভার। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই খাবারটি রাখতে পারেন।

রক্তশূন্যতা : নারীদের মধ্যে বেশি রক্তশূন্যতার সমস্যা দেখা যায়। কলার মোচা দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে রক্তশূন্যতার সমস্যা কমে।

ভিটামিনের উৎস : কলার মোচায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ই আছে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারও মেলে। এ কারণে এটি শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নিয়ম করে কলার মোচা রাখতে পারেন।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে : কারও যদি মুড সুইংয়ের সমস্যা থাকে অথবা ছোট-বড় সব বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, তাহলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কলার মোচা রাখুন। কারণ এটি মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে মোচা। অ্যান্টি ডিপ্রেশনের জন্য আলাদা করে কোনও ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। নিয়মিত কলার মোচা খেলে প্রাকৃতিক ভাবেই বিষন্নতা কমাতে সাহায্য করবে।

ফ্রি র‍্যাডিক্যালের সমস্যা দূর করে : নিয়মিত মোচা খেলে রক্তে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের সমস্যা কমে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া নিয়ন্ত্রণ হয়। মোচা খেলে অ্যালঝাইমার ও পারকিনসনের মতো ভুলে যাওয়া রোগের ঝুঁকি কমে।

জরায়ু সুস্থ রাখে : হলুদ, গোলমরিচের গুঁড়া ও জিরা দিয়ে মোচা সেদ্ধ করে খেলে জরায়ু সুস্থ রাখে।

চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক : চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে মোচা। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান প্রাকৃতিকভাবে চুলকে নরম করে, চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।