রাজীব আহসান, কানাডা : কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বুধবার আলবার্টা প্রদেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচটি অতিরিক্ত মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ায় আলবার্টার জনস্বাস্থ্য সংস্থা সামনের সপ্তাহগুলোতে আরও বিধিনিষেধের প্রয়োজন হবে কিনা, তা নির্ধারণের জন্য কোভিড-১৯ পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করছে।

আলবার্টা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ডিনা হিনশা বলেছেন, আলবার্টা প্রদেশে বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার টেস্টে প্রায় ৮শ’ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

পাঁচটি নতুন মৃত্যুর মধ্যে দুজন ক্যালগেরির, একজন আলবার্টা হেলথ সার্ভিসের সাউথ জোনের এবং বাকি দুইজন এডমনটনের। আলবার্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ২৩০ জন, যেখানে ক্যালগেরির জোনেই ২ হাজার ৬১০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৬৪ জন প্রদেশের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ত্রিশজন রোগী নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া নতুন ৪২৫ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করে দৈনিক রেকর্ড স্থাপন করেছে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বনি হেনরি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে, ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে কোনো নতুন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৩ হাজার ৩ শত ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে; যা আজ অবধি সর্বোচ্চ রেকর্ড।

কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম বলেছেন, মাস্কের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া যায় এটি প্রমাণিত। তিনি ফাঁকা জায়গা ছাড়া সব স্থানে কানাডিয়ানদের মাস্ক পরার আহ্বান জানান। ডা. থেরেসা ট্যাম শীত মৌসুমে করোনার বিস্তার বাড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন।

তিনি করোনার বিস্তার রোধে শীতকালে বাড়ির অভ্যন্তরেই বেশি সময় কাটানোর আহ্বান জানিয়ে তিন স্তরের নন-মেডিকেল মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। মঙ্গলবার অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, কানাডায় সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না, বরং উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে।