রাজীব আহসান, কানাডা : কানাডার আলবার্টায় নাটকীয়ভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা প্রদেশ জুড়ে অবিলম্বে দু’সপ্তাহের জন্য জরুরিভিত্তিতে লকডাউন করার আহ্বান জানিয়েছেন একদল চিকিৎক।
আলবার্টার ৭০ জনেরও বেশি চিকিৎসক স্বাক্ষরিত এক চিঠি সোমবার প্রিমিয়ার জেসন কেনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী টেলর শান্দ্রো এবং আলবার্তার স্বাস্থ্য বিষয়ক চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ডীনা হিনশাকে প্রেরণ করা হয়।
চিঠিতে চিকিৎসকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, প্রদেশটিতে অতিরিক্ত কোনও বিধিনিষেধ আরোপিত না হলে প্রদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়বে। চিঠিতে আরো বলা হয় আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রাদেশিক সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনার সময় এসেছে, আমাদের দরকার বিধি নিষেধ, পরামর্শ নয়।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, গত তিন সপ্তাহ ধরে আলবার্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা এবং আইসিইউ ভর্তির সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় সাপ্তাহ শেষে সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছেছে। চিঠিতে চিকিৎসকরা আলবার্টায় জরুরিভাবে দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউনের আহ্বান জানান।
চিঠির স্বাক্ষরকারী চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছে আলবার্টায় কর্মরত নিবিড় পরিচর্যা চিকিৎক, জরুরী চিকিৎসক, সাধারণ ইন্টার্নিস্ট, পালমোনোলজিস্ট, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং পারিবারিক ডাক্তার।
উল্লেখ্য, আলবার্টায় গত তিন সপ্তাহ ধরে নাটকীয়ভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি এবং ক্যালগেরির মেয়র নাহিদ ন্যান্সি পৃথক পৃথকভাবে জনসাধারণকে ইতোমধ্যে সতর্ক করেছেন।
আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি ইতিমধ্যেই ক্যালগেরি এবং অ্যাডমন্টনবাসীদের বাড়িতে সামাজিক সমাবেশের আয়োজন বন্ধ করতে বলেছেন। তিনি সামাজিক জমায়েতের জন্য ১৫ ব্যক্তির সীমা নির্ধারণ করেছেন।
অন্যদিকে ক্যালগেরির মেয়র নাহিদ ন্যান্সি ইতিমধ্যেই জনসাধারণকে সতর্ক করে বলেছেন, আমি আর একটি লকডাউন চাই না, কেউই তা চায় না, শেষ পর্যন্ত যদি অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে মানুষকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখা আমাদের একমাত্র পছন্দ হয়, তবে আমাদের এটাই করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বসন্তের সময় যে পরিমাণ করোনা শনাক্ত হয়েছিল বর্তমানে আমরা তার থেকেও অনেক ওপরে।
সুতরাং লকডাউন এড়াতে আমাদের প্রচেষ্টা পুনরায় দ্বিগুণ করতে হবে।
কানাডায় করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না, বরং উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। কানাডার অন্যান্য প্রদেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।