Home কানাডা খবর কানাডার টরন্টোতে স্থায়ী শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে প্রবাসীদের ঢল, নানা অনুষ্ঠান

কানাডার টরন্টোতে স্থায়ী শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে প্রবাসীদের ঢল, নানা অনুষ্ঠান

ফয়জুল করিম : একুশের প্রথম প্রহরে সর্বজনীন একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি, টরন্টো ২০২৩ এর উদ্যোগে দিনব্যাপী আয়োজন।

বিনম্র শ্রদ্ধা আর যথাযথ মর্যাদায় কানাডার টরেন্টোতে পালিত হলো শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সেজন্য একুশের প্রথম প্রহরে টরেন্টোর ডেনফোর্থের ডেন্টনিয়া পার্কের স্থায়ী শহীদ মিনারে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিদের পদচারণায় ছিল মুখরিত। এ বছরও সুশঙ্খলভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আমন্ত্রিত অতিথিদের ভাষাদিবসের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা পর্বসহ সবকাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে সর্বজনীন একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি, টরন্টো। একুশের প্রথম প্রহর ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের পর বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে বক্তব্য দেন কানাডার ফেডারেল সরকারের মন্ত্রী এবং স্কারবোরো সাউথওয়েস্টের এমপি বিল ব্লেয়ার, টরেন্টোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল মোঃ লুত্ফর রহমান, টরেন্টোর বিচেস এন্ড ইস্ট ইয়র্কের এমপি ন্যাথানিয়েল এর্কেন স্মিথ, স্কারবোরো সাউথওয়েস্টের এমপিপি ডলি বেগম, এমপিপি ম্যারি মার্গারেট ম্যাকমহন, টরন্টো সিটি কাউন্সিলার ব্রাড ব্রাডফোর্ড, সিটি কাউন্সিলার গ্যারি ক্রাফোর্ড, টরন্টো স্কুল বোর্ড ট্রাস্ট্রি মালিকা গাউস, সৈয়দ শামসুল আলম, আহ্বায়ক-ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক একে আজাদ। এমপিপি ডলি বেগম একটি শুভেচ্ছা বাণীও প্রদান করেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ফায়েজুল করিম ও মাহবুব চৌধুরী রনি। বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন এই কানাডার মরহুম রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালামই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন। সেজন্য কানাডা প্রবাসীরা গর্বিত! একুশের প্রথম প্রহরের নির্ধারিত সময়ের আগেই শহিদ মিনারে চলে আসেন মুক্তিযোদ্ধাসহ শত শত বাঙালি এবং বিদেশিরাও। তারা সুশৃঙ্খলভাবে শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ও তারা একত্রে অমর একুশের গান, “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি?” গেয়েছেন।

শহিদ মিনার ও ভাষা স্তম্ভে বৃহত্তর টরন্টোর সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, রাজনৈতিক সংগঠন, এলামনাই ও ব্যক্তিবর্গ ভাষার বেদীতে প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২:০১ মিনিটে সারিবদ্ধভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সর্বজনীন একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রেজাউর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক একে আজাদ এবং সদস্য সচিব ফায়েজুল করিম ভলানটিয়ার এবং উদযাপন কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। উদযাপন কমিটির প্রকৌশলী নওশের আলী, মাহবুব চৌধুরী রনি, আহাদ খন্দকার, ছাদ চৌধুরী, মুজাহিদুল ইসলাম, কফিল ঊদ্দিন পারভেজ, মাসুদ আলী লিটন, সাইদুন ফয়সাল, সুমন সাইয়েদ, মেরী রাশেদীন, কামরান করিম, জামিল বিন খলিল, দীন ইসলাম, রিমন ইসলাম, বাবলু চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ, ড. হানিফ উদ্দিন, মো. সাকিব হোসেন, রাসেল আহমেদ, আবু জহির সাকিব, মকবুল হোসেন মঞ্জু, ইমরুল ইসলাম, জাকারিয়া চৌধুরী, শাকিল আহমেদ প্রমুখ সর্বাত্মক সহায়তা করে একুশের প্রথম প্রহরটি সুশ্ঙ্খৃল করে তোলেন।

এর আগে বিকেল তিনটায় ডেন্টোনিয়া পার্ক শহিদ মিনারের সামনে টরেন্টোতে বসবাসরত প্রবাসী বাঙ্গালি – কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সঙ্গীত শিল্পী, আবৃত্তিকার, নৃত্যশিল্পী, অভিনয় শিল্পী, আলোকচিত্র শিল্পী, কলা কুশলী, নির্দেশক, সংগঠক, কিশোর- কিশোরীসহ, সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সকলে একত্রে “শতকন্ঠে একুশের গান” পরিবেশন করেন । সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল “সর্বজনীন একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি” ও সাংস্কৃতিক উপ- পরিষদ।
সংগঠক, শিল্পী সুমন সাইয়েদ, মেরী রাশেদীন, আবৃত্তিশিল্পী কামরান করিম, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জামিল বিন খলিল এর নির্দেশনায় “শতকণ্ঠে একুশের গান” পর্বটি ছিল সত্যি দেখার মতো।

সন্ধ্যা ছয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত ড্যানফোর্থ এভিনিউর বিসিসিএস মিলনায়তনে টরন্টোর সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় একুশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাংস্কৃতিক উপ- পরিষদের সুমন সাইয়েদ, মেরী রাশেদীন, কামরান করিম ও জামিল বিন খলিল।

টরন্টোতে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে গঠিত “সর্বজনীন একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি, টরন্টো-২০২৩” পক্ষে প্রিন্ট- ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন ফায়েজুল করিম, দীন ইসলাম, মাহবুব চৌধুরী রনি, নওশের আলি, কামরান করিম, জামিল বিন খলিল, বাবলু চৌধুরী ও আরিফ আহমেদ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Exit mobile version