অনলাইন ডেস্ক : কানাডায় অনলাইনে ভুয়া ভ্যাকসিন সনদ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন প্রদেশে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু এবং এই পাসপোর্টধারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান, অন্যদিকে নন-ভ্যাকসিনেটেদের জন্য বিধি-নিষেধের কঠোরতা বৃদ্ধির ফলে দেশটিতে ভ্যাকসিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু সাইবার দস্যু অর্থের বিনিময়ে ভুয়া সনদ বিক্রির অফার দিচ্ছে। আর টিকা না নিয়েও টিকা গ্রহীতার মতো সুবিধা ভোগ করার জন্য অনেকে এই সনদ ক্রয় করছে। বিষয়টি সরকারের নজরে আসার পর এ নিয়ে সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

কানাডায় টিকা কার্ড ও ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ধারীরা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বার, জিমনেসিয়াম ও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। অন্যদিকে নন-ভেকসিনেটেডদের এসব স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশের পাশাপাশি নিয়মিত করোনা টেস্ট করাতে হয়।

এসব ঝামেলা এড়াতে অনেক নন-ভ্যাকসিনেটেড নকল টিকা সনদ সংগ্রহের দিকে ঝুঁকেছেন। সনদ নকলকারিরা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগ্রহীদের সাথে যোগাযোগ করে। কিছু সাইবার দস্যুর দাবি তাদের দেয়া টিকার নকল সনদ ‘আসলের চাইতেও আসল’। অর্থাৎ এই ভুয়া সনদটি কেউ ভুয়া বলে শনাক্ত করতে পারবে না। এমনকি সরকারি ডাটা বেইজের সিরিয়াল নাম্বারও এতে দেওয়া থাকে।

ম্যানিটোবা, ব্রিটিশ কলম্বিয়াসহ কয়েকটি প্রদেশে ২০০ ডলারের বিনিময়ে মিলছে এ রকম ভুয়া সনদ। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে সাইবার দস্যুরা এখন অনেকটা প্রকাশ্যেই ভুয়া সনদের ব্যবসা করছে। একজন ভুয়া সনদ বিক্রেতা নিজেকে মন্ট্রিল ভিত্তিক সাইবার বিশেষজ্ঞ দাবি করে জানিয়েছেন, তিনি শুধু কানাডা নয়, বিশ্বের যে কোন দেশের করোনার নকল সার্টিফিকেট তৈরি করে দিতে পারবেন। তার অনলাইন আইডিতে যোগাযোগ করে দেখা গেছে সেখানে ৩ লাখেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অফিসার মেরিলি তুনসি বলেন, কানাডায় এ পর্যন্ত কতগুলো ভুয়া সনদ বিক্রি হয়েছে তার হিসাব তাদের কাছে নেই। তবে সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, করোনার ভুয়া সনদধারীদের শিগগিরই চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সূত্র : সিবিসি