অনলাইন ডেস্ক : কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত নাগরিক অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। কিন্তু তাদের কানাডায় অভিবাসনের স্বপ্ন সহসাই পূরণ হচ্ছে না। করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন বিধি-নিষেধে দীর্ঘায়িত হচ্ছে তাদের স্বপ্ন। এমনি একজন ভারতের বেঙ্গালুরুর কম্পিউটার প্রোগ্রামার আশরি কোবি (২৮)। কানাডার ইমিগ্রেশন অফিস থেকে কোন সুসংবাদ পাওয়ার আশায় তিনি প্রতিদিন বেশ কয়েকবার তার ই-মেইল চেক করেন। কিন্তু প্রতিবারই তাকে হতাশ হতে হয়।

কোবির মতো কানাডায় অভিবাসন প্রত্যাশি প্রায় ২৩ হাজার লোক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন। তাদের অনেকের কানাডায় প্রবেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, অনেকের শেষ হওয়ার পথে। অভিবাসন সংক্রান্ত সব ডকুমেন্ট থাকার পরও তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না। কানাডা ইমিগ্রেশন থেকে তাদেরকে শুধু অপেক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। সেই অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হচ্ছে না।

কোবি বলেন, চলতি জুলাইয়ের শুরুতে তার অটোয়ায় সেটেল করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় তার ‘কনফারমেশন অব পারমানেন্ট রেসিডেনসি’ (সি ও পি আর) সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলেও তার পক্ষে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সনদ দিয়ে কানাডায় প্রবেশ সম্ভব নয়। কানাডা সরকারও তাদের বিষয়ে পরিস্কার করে কিছু বলছে না। বিষয়টি সত্যিই খুবই হতাশাজনক। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে তিনি কানাডায় অভিবাসনের জন্য দরখাস্ত করেছিলেন। তারপর বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে তিনি সিও পি আর সনদ পেয়েছিলেন। কিন্তু মহামারিতে সব কিছু ওলট-পালট হয়ে গেছে।

কোবির মতো একই অবস্থা ভারতের নয়া দিল্লির শমির মাসি ও স্পেনের বার্সেলোনার সোফি বেলাস্টেরোসের। তারা কানাডায় অভিবাসনের আশায় চাকুরী ছেড়ে এবং ফ্লাটের আসবাবপত্র বিক্রি করে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ায় এখন তারা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত কানাডা সরকার বর্তমানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও বৈধ সি ও পি আর সনদধারীরা ছাড়া কেউ কানাডায় অভিবাসনের জন্য আসতে পারবেন না। যাদের সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদেরকে অপেক্ষায় থাকতে বলা হয়েছে। কবে তাদের অপেক্ষার মেয়াদ শেষ হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সূত্র : সিবিসি নিউজ