অনলাইন ডেস্ক : নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আবারও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে কানাডার খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আসন্ন মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি অবহিত করে তারা ইতিমধ্যেই খুচরা মুদি দোকানিদের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, এ বছরই আরেক দফা দাম বাড়তে যাচ্ছে মুদি পণ্যের। ইতিমধ্যেই খাদ্যের খরচ দ্বিগুণ হয়েছে কানাডায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, কানাডিয়ান ডেইরি কমিশন এ বছর দ্বিতীয়বার দুধের দাম বৃদ্ধির অনুমোদনের কারণে দাম বেড়েছে। দুধের দাম ১ সেপ্টেম্বর থেকে দুই পয়সা অথবা আড়াই শতাংশ বাড়বে। তাছাড়া দুধ প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানিগুলো নিজেরাও দাম বাড়াবে বলে মনে হচ্ছে। শিল্প পর্যবেক্ষকরাও এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন।

উত্পাদকরা বলছে, উত্পাদন খরচ বৃদ্ধি, সেইসাথে পশু খাদ্যের দামের ক্রমবর্ধমান হার, জ্বালানি ও সারের বাড়তি খরচ দুধের দাম বাড়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এই নিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ছাড়াও, গোটা সরবরাহ ব্যবস্থায়- উত্পাদন, জ্বালানি, শ্রম এবং বিতরণ ব্যয়কে দীর্ঘস্থায়ী মুদ্রাস্ফীতির চাপ প্রভাবিত করেছে।

স্ট্যাটিস্টিক্স কানাডা গত মাসে জানিয়েছে, স্টোরে কেনা খাবারের দাম এক বছর আগের তুলনায় মে মাসে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির খাদ্য বন্টন ও নীতির অধ্যাপক সিলভাইন শার্লেবোইস বলেছেন, খাদ্যের দাম বৃদ্ধির গতি কমতে শুরু করার আগে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতির এ হার আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউএস ব্যুরো অফ লেবার স্ট্যাটিস্টিকস বুধবার বলেছে, সে দেশে ঘরে খাওয়া খাবারের মূল্যস্ফীতির হার জুন মাসে ১০ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৯৮১ সালের পর থেকে ১২ মাসের হিসেবে সর্বোচ্চ। সূত্র : সিবিসি