অনলাইন ডেস্ক : কানাডা গত ২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার বলেছে যে তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইউক্রেনে ভারী ট্যাঙ্ক সরবরাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং অন্যান্য দেশের সাথে যোগ দেবে। এই উদ্যোগের আওতায় আসন্ন সপ্তাহগুলোর যে কোন সময় কানাডা চারটি সম্পূর্ণ সক্রিয় লেপার্ড-২ ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে পাঠাবে। এ বিষয়ে কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দ একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এই চারটি ট্যাঙ্ক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে মোতায়েন করা হবে।’ কানাডার ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, কানাডা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ট্যাঙ্ক পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভারী ট্যাঙ্ক সরবরাহের জন্য পশ্চিমা মিত্রদের ওপর প্রচন্ড চাপ দিয়েছেন । পশ্চিমা মিত্ররা এই সপ্তাহে এতে সাড়া দিলে ট্যাঙ্ক সরবরাহকারী দেশের সংখ্যা ও বাড়ছে। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর কড়া চাপের মধ্যে জার্মানি ইউক্রেনে ১৪টি শক্তিশালী ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে সম্মত হয়। নরওয়ে গত ২৫ জানুয়ারি, বুধবার বলেছে, তারা লেপার্ড-২ ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে পাঠাবে এবং সুইডেন বলেছে তারাও এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন একই দিন ঘোষণা করেছেন, তার প্রশাসন ইউক্রেনে ৩১টি এম ১ আব্রামস যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পাঠাবে, তবে সরবরাহ আগামী বছরের আগে নাও হতে পারে।
জার্মান-নির্মিত লেপার্ড ২ যুদ্ধ ট্যাঙ্কগুলোকে বিশ্বব্যাপী সেরা পারফরম্যান্স ট্যাঙ্ক মডেলগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এগুলোর ব্যাপক ব্যবহারের খুচরা যন্ত্রাংশ এবং গোলাবারুদ সহজেই পাওয়া যায়। মস্কোর সাথে সামরিক সংঘাত বৃদ্ধির ভয় প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনের মিত্রদের ভারী ট্যাঙ্ক সরবরাহ থেকে বিরত থাকে।
তবে কানাডার মন্ত্রী অনিতা আনন্দ বলেছেন ‘এই যুদ্ধের বাস্তবতা পরিবর্তিত হয়েছে’ এবং ইউক্রেনের মিত্রদের অবশ্যই ‘তাদের ঐক্য দেখাতে হবে।’ ‘এই ভারী সাঁজোয়া যান সৈন্যদের জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং এগুলোর চমৎকার গতিশীলতা, ফায়ার পাওয়ার এবং প্রতিরোধ সক্ষমতা যুদ্ধক্ষেত্রে একটি কৌশলগত সুবিধা দেয়।’ কানাডার ৮২টি জার্মান-তৈরি লেপার্ড ট্যাঙ্ক রয়েছে তবে সবগুলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাধুনিক ট্যাংক চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার দাবি, অত্যাধুনিক ট্যাংক ছাড়া রাশিয়ার বিপক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। যুদ্ধ শুরুর বছরখানেকের মাথায় মিত্রদের কাছ থেকে ট্যাংক পাওয়ার ঘোষণা ইউক্রেনের জন্য অন্যতম অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে শুধু ট্যাংক পেয়ে ইউক্রেন খুশি নয়; এবার দেশটির চাওয়া অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভের উপদেষ্টা ইউরি সাক বলেছেন, মিত্রদের কাছে পরবর্তী বড় চাওয়া হবে যুদ্ধবিমান। চতুর্থ প্রজন্মের মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চাইবে তারা। সূত্র : সিবিসি নিউজ