আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা : কানাডা-মার্কিন সীমান্তের কাছাকাছি প্রত্যন্ত সম্প্রদায়ের জন্য ভ্রমণ বিধি-নিষেধ শিথিল

কানাডার ফেডারেল সরকার কানাডা-মার্কিন সীমান্তের কাছাকাছি প্রত্যন্ত সম্প্রদায়ের জন্য ভ্রমণ বিধি নিষেধ শিথিল করেছে। কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম সিবিসি নিউজ জানায়, ফেডারেল সরকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কাছাকাছি প্রত্যন্ত সম্প্রদায়ের খাদ্য ও চিকিৎসা পরিষেবা সহ – দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে এবং আন্তঃসীমান্তবতী শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ারও অনুমতি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, স্টুয়ার্ট, বিসি, হায়দার এবং আলাস্কার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয়তার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করতে দেওয়া হবে।
স্টুয়ার্ট, বিসিতে প্রায় ৪ শতাধিক বাসিন্দা রয়েছে এবং হায়দার, আলাস্কার জনসংখ্যা মাত্র ৬৩ জন।

গত ২২ মার্চ কোভিড-১৯ এর বিস্তার সীমাবদ্ধ করার প্রয়াসে ভ্রমণ বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়ার পর থেকেই এই এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদরা এই সীমানাটি পুনরায় চালু করার জন্য অনুরোধ করে আসছিল।

অন্যদিকে, দুই দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে বিধিনিষেধ শিথিলের যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত কিরিসটেন হিলম্যান। ২০২১ সালের আগে সীমান্তের বিধিনিষেধ তুলে নেয়াার জন্যে কানাডা প্রস্তুত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য করোনা মহামারীর প্রারম্ভে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি গত মার্চ মাসে প্রথম চালু হয়েছিল এবং এর পর থেকে প্রতি মাসে বাড়ানো হয়েছে। কোভিড ১৯-এর প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রথম থেকে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল গত ১৮ মার্চ থেকে। তখন থেকেই প্রতি মাসে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বাড়ানো হয়েছে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ। তবে জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত যেমন– স্বাস্থ্যসেবা, এয়ারলাইন ক্রু এবং ট্রাক ড্রাইভারদের মতো প্রয়োজনীয় আন্তঃসীমান্তকর্মীদের এখনও সীমান্ত পার হওয়ার অনুমতি রয়েছে।

অন্যদিকে, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে আরোপিত বিধিনিষেধ অক্টোবরের ২১ তারিখে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে বিধিনিষেধ বাড়িয়ে ২১ নভেম্বর করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ আরো বাড়ানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে কানাডা- মার্কিন সীমান্ত বন্ধ রাখার পদক্ষেপ খুবই সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত।