অনলাইন ডেস্ক : ফেব্রুয়ারিতে কানাডিয়ান বাড়ির গড় দাম ৮ লাখ ১৬ হাজার ৭২০ ডলারে পৌঁছেছে। কানাডিয়ান রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের (সি আর ই এ) মতে এটি এই খাতে সর্বোচ্চ মূল্যের রেকর্ড। কানাডা জুড়ে ১ লাখ রিয়েলটদের প্রতিনিধিত্বকারি সি আর ই এ গত মঙ্গবার বলেছে যে, গত বছর রেকর্ড পরিমাণ বাড়ি হাতবদল হলেও চলতি বছরের শুরুতেই তা ছাড়িয়ে যাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে ৫৮ হাজার ২০৯ টি বাড়ি হাত বদল হয়েছে। নতুন তালিকায় দেখা যাচ্ছে মার্চে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ফেব্রæয়ারিতে বাড়ি বিক্রির গড় মূল্য ছিল ৮,১৬,৭২০ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
তবে সি অর ই এ বলেছে, এই হিসাবে কিছুটা ফাঁক রয়েছে। কেননা টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভারের মতো শহরগুলোতে বাড়ির যে উচ্চমূল্য তা অন্য এলাকার বাড়ির দামকে প্রভাবিত করে। গড় হিসাবের সময় এই দু’টি শহরকে বাদ দিলে বাড়ির মূল্য প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ডলার কমে যায়। এই বৈষম্য দূর করতে চালু হয়েছে ‘হাউস প্রাইজ ইনডেক্স’ ব্যবস্থার। কিন্তু এই ইনডেক্সেও বাড়ির মূল্য বৃদ্ধি ও বিক্রির সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। হাউজ প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এ বছর এই মাসে বাড়ি বিক্রির সংখ্যা বেড়েছে ৩.৫ শতাংশ এবং মূল্য বৃদ্ধির হার ২৯ শতাংশ। মাসিক হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই যা নতুন রেকর্ড।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি কানাডার হাউজিং মার্কেটে বিপরীতমূখী প্রভাব ফেলেছে। করোনায় সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মন্দাভাব দেখা দিলেও কানাডার আবাসন খাত ছিল চাঙ্গা। এক হিসাবে দেখা গেছে ২০২০ সালের মার্চ ও এপ্রিল পর্যন্ত ক্রেতারা আবাসন খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিল। কিন্তু পরবর্তী ২ বছর এই খাতে নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ক্রেতারা উদার হস্তে এই খাতে বিনিয়োগ করেছেন। যা মহামারির মধ্যেও দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও ইতিবাচক ভ‚মিকা রেখেছে।

সি আর ই এ বলেছে, বাড়ির মূল্য ও বিক্রির সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোরও অবদান আছে। তারা নিত্য নতুন অফার নিয়ে ক্রেতাদের সামনে হাজির হচ্ছে। কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অনেকেই এসব অফার গ্রহণ করছে। কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেতাদের বাজারে আনার জন্য ইকুইটি অংশদারিত্বের মতো অপ্রচলিত পদ্ধতিও অবলম্বন করছেন। টরন্টোর বাসিন্দা লরেন শ্রেইবার বলেন, তিনি স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে নিশ্চিন্তে বসবাসের জন্য অনেক দিন ধরে একটি বাড়ি খুঁজছেন। কিন্তু সেখানে ১ মিলিয়ন ডলারের কমে বাড়ি পাওয়া অসম্ভব। আবার ওই পরিমাণ অর্থও তাদের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই তারা ‘অপসন ফর হোমস’ থেকে সহায়তা নেয়ার কথা ভাবছেন। তিনি বলেন, যদিও পরিকল্পনাটি ঝুঁকিমুক্ত নয়। তবুও আমাদের হাতে অন্য কোন বিকল্প নেই। সূত্র : সিবিসি