বিনোদন ডেস্ক : সালমান-ঐশ্বরিয়া কিংবা রেখা-অমিতাভের মতো বলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি ছিলেন শহিদ-কারিনা। শহিদ কাপুরের সঙ্গে কারিনার বিচ্ছেদের পর জোর জল্পনা শুরু হয় এক সময়। এমনকি, শহিদের বিয়েতে কারিনাকে আমন্ত্রিতদের তালিকায় না রাখা কিংবা ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ছবিতে কাজ করেও দুজনের মুখ দেখাদেখি যখন বন্ধ ছিল, তা নিয়েও সরগরম হয়ে ওঠে পেজ থ্রির পাতা। ‘যব উই মেট’-এর শুটিংয়ের পর শহিদ-কারিনার বিচ্ছেদের খবর যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন তোলপাড় হয়ে যায় বি টাউন। কেন তাদের রাস্তা আলাদা হয়ে যায়, তা নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় কানে আসতে শুরু করে। ওই সময় একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে শহিদ জানান, বিচ্ছেদের পর তার জীবন থেমে নেই। কারিনার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন তিনি অন্যরকম ভাবতেন কিন্তু বিচ্ছেদের পর তিনি জীবন নিয়ে আরও নিত্যনতুন জিনিস ভাবতে শুরু করেছেন বলেও ওই সময় জানান শাহিদ। একজন অভিনেতার জীবনের কাজের বাইরে কোনও কথা হয় না।
তাই তার পরিচালক যা বলবেন, তিনি সেভাবেই কাজ করবেন। কোনও ছবির জন্য যদি তার বিপরীতে কারিনাকে কাপুরকে কাস্ট করা হয়, বিনা বাক্যব্যায়ে তিনি কাজ করবেন বলেও ওই সময় দাবি করেন শহিদ কাপুর। ভাল ছবির জন্য পরিচালকের কথার বাইরে তিনি কোনও কাজ করবেন না বলেও মন্তব্য করেন শহিদ। শুধু তাই নয়, পরিচালক যদি তাকে ছবির জন্য কোনও ‘গরু’ কিংবা ‘মহিষের’ সঙ্গেও রোমান্স করতে বলেন, তাহলেও তিনি করবেন। কারণ ওটা তার দায়িত্ব। শাহিদের ওই মন্তব্যের পরই জোর শোরগোল শুরু হয়ে যায়। শহিদ কি তাহলে কারিনার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে এই উদাহরণ টেনে বসলেন, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। যদিও শহিদের ওই মন্তব্যের পর কারিনা কাপুরকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। তিনি পালটা কোনও মন্তব্যও করেননি।