অনলাইন ডেস্ক : কুইবেকে আদিবাসী নারীদের জোড়পূর্বক বন্ধ্যাকরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু স্বাস্থ্যকর্মী আদিবাসীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে একাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে কয়েকটি আদিবাসী গ্রুপ ও নারী সংগঠন। তারা জোড়পূর্বক বন্ধ্যাকরণের শিকার মহিলাদের খুঁজে বের করে তাদের তালিকা করছে এবং ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য ভুক্তভোগিদেরকে উদ্ভুদ্ধ করছে।
কয়েকটি আদিবাসী গ্রুপ, নারী সংগঠন এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিও কুইবেকে জোড়পূর্বক বন্ধ্যাকরণের শিকার নারীদের সাথে দেখা করে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করছে। তারা এ বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক প্রামান্য চিত্র নির্মাণ করছে। তারা আশা করছে আরো অধিক সংখ্যক মানুষ তাদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসবে। গ্রুপগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা ইতোমধ্যে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, আলবার্টা ও সাসকাচুয়ানে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। কিন্তু কুইবেকে এ বিষয়ে এতদিন খুব একটা কাজ হয়নি। তাই এখানে আদিবাসীরা বেশি নিগ্রহের শিকার হচ্ছে।
জোড়পূর্বক বন্ধ্যাকরণ নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হচ্ছে কুইবেক লেবার হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল সার্ভিস কমিটি। এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মারজোলিন সিওই বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে জন্মহার বেশি। তাই বলে এই হার কমানোর জন্য আপনি প্রতারণা বা জোড়-জবরদস্তি করতে পারেন না। এমন কি ভয়-ভীতিও দেখাতে পারেন না। তিনি আরো বলেন, আপনি যখন সমাজে কোন ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাইবেন তখন আপনাকে সঠিক পথেই তা আনতে হবে। প্রতারণা বা জোড়পূর্বক কোন ভাল কাজ হয় না।
গত মে মাস থেকে এই সংগঠনটি কুইবেকে জোড় পূর্বক বন্ধ্যাকরণের শিকার নারী ও তার পরিবার এবং এর সাথে জড়িত স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে কথা বলছে। তাদের এই কার্যক্রম শুরুর পর সেখানে এই প্রবণতা অনেক কমেছে বলে তিনি দাবি করেন। সূত্র : সিবিসি