অনলাইন ডেস্ক : কুইবেকে যত্রতত্র বন্দুকবাজির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, খেলার মাঠ এমনকি আবাসিক এলাকাতে স¤প্রতি বেশ কয়েকটি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কুইবেকের জন নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী জেনেভিভ গুইলবল্ট এই ‘বন্দুক সন্ত্রাস’ নিয়ন্ত্রণে ৯০ মিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে তিনি জানান।
কুইবেকে অবৈধ অস্ত্রের প্রবাহ বন্ধ এবং বৈধ অস্ত্রের বে আইনী ব্যবহার রোধে কুইবেক প্রশাসন দ্য রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) সহায়তা নেবে। প্রয়োজনে তারা যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সহায়তাও নেবে। স¤প্রতি কুইবেকের জন নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এডহক ভিত্তিতে কিছু কাজ করার জন্য চুক্তি করেছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী এই কর্ম পরিধি আরো বাড়ানো হবে।
সীমান্তে অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান রোধে অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশ (ওপিপি) ও আদিবাসী স¤প্রদায়ের সাথে একযোগে কাজ করবে কুইবেক সরকার। নতুন পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হল সন্ত্রাসী গ্রæপগুলোর হাতে অস্ত্র পৌঁছানো বন্ধ করা। এই পরিকল্পনার নাম দেয়া হয়েছে ‘অস্ত্র চোরাচালান রোধে সমন্বিত জাতীয় প্রচেষ্টা’।
কুইবেক প্রশাসন বন্দুক সন্ত্রাস রোধে বরাদ্দকৃত অর্থ কয়েকটি ধাপে ব্যয় করবে। প্রথমত এসব বন্দুকবাজির ঘটনা তদন্তে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হবে। ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ওই টিম বিস্তারিত তদন্ত করবে। তারা অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও খোঁজ-খবর করবে এবং অবৈধ অস্ত্রের চালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া পুলিশ বিভাগে জনবল বৃদ্ধিতেও ওই অর্থ ব্যয় করা হবে। সংঘবদ্ধ অপরাধীদের ধরতে পুলিশে আলাদা ইউনিট গঠন করা হবে। কুইবেকে তৎপর বিভিন্ন অপরাধী চক্রের বিষয়ে খোঁজ নিতে পুলিশের সাইবার ইউনিটকে আরো শক্তিশালী করা হবে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ, এবং বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের সঠিক যাচাই-বাছাই করতে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে।
প্রসঙ্গত, রেডিও কানাডা পরিচালিত সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে যে, বৃহত্তর মন্ট্রিল এলাকায় গত ৪ বছরের মধ্যে স¤প্রতি সবচেয়ে বেশি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এসব ঘটনায় মামলা-মোকদ্দমার হারও আগের চাইতে অনেক বেড়ে গেছে। সূত্র : রেডিও কানাডা