Home কানাডা খবর ক্যালগরির মেয়র প্রার্থীর মুসলিমবিদ্বেষী কর্মকান্ডের দায় স্বীকার

ক্যালগরির মেয়র প্রার্থীর মুসলিমবিদ্বেষী কর্মকান্ডের দায় স্বীকার

অনলাইন ডেস্ক : আলবার্টা প্রভিন্সের ক্যালগরির মেয়র প্রার্থী কেভিন জে. জনস্টন তার বিরুদ্ধে আনা বর্ণবাদ, মুসলিম বিদ্বেষ ও জাতিগত ঘৃনা সৃষ্টির অভিযোগের দায় স্বীকার করেছেন। গত শুক্রবার অন্টারিওর একটি আদালতে নিজের অপরাধের দায় স্বীকার করেন মহামারিকালে মাস্ক বিরোধী (এন্টি মাস্ক) আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী এই নেতা। চলতি মাসের শেষ দিকে তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হতে পারে। রায়ে তার কারাদন্ড হলে নির্বাচনের দিন তাকে কারাগারে থাকতে হতে পারে। আদালতে জনস্টনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বলা হয় ২০১৭ সালে জানুয়ারি ও জুলাই মাসে তিনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একাধিক ভিডিও পোস্ট করেন যেগুলো ছিল মুসলমানদের জন্য অবমাননাকর। তার ওই সব ইসলাম বিদ্বেষী পোস্ট মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এছাড়া তার কর্মকান্ড সমাজে ধর্মীয় ও জাতিগত ঘৃণা ছড়িয়েছে। মামলার শুনানিতে আইনজীবী বলেন আসামির বেপরোয়া কর্মকান্ড সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া উচিত। ২০১৭ সালে তার পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায় দেখা গেছে তিনি তাঁর অনুসারিদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিতে উৎসাহিত করছেন। ওই বার্তায় তিনি মুসলিমবিদ্বেষী প্রতিটি কাজের জন্য তার অনুসারীদের ১ হাজার ডলার পুরস্কারের ঘোষণাও দেন। কেভিন জে. জনস্টন গত বছর থেকে ক্যালগরিতে শুরু করেছেন। এর আগে তিনি আলবার্টা ও অন্টারিওতে বসবাস করেছেন। ওই দুই জায়গাতেও তার বর্ণবাদী বক্তব্য ও আচরণের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে টরন্টোতে একটি রেস্টুরেন্টে মুসলমানদের প্রতি তার আচরণ ছিল বিরক্তিকর ও জঘন্য। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ছাড়াও জনস্টনের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মী ও রেস্টুরেন্ট কর্মীদের প্রতি অশোভন আচরণের অভিযোগ রয়েছে। ওই সব অভিযোগের বিচারের রায়ে আদালত ৪৯ বছর বয়স্ক এই মেয়র প্রার্থীকে ‘বিপদজনক ব্যক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। এবারের অভিযোগের রায় হয়তো শুধু সতর্ক করা হবে না। আগামী ১৮ অক্টোবর ক্যালগরি মেয়র নির্বাচনের আগেই তাঁকে কারাগারে যেতে হতে পারে। তবে ক্যালগরির মেয়র নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে না। তিনি কারাগারে থেকেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কেননা বিচারাধীন মামলা বা ফৌজদারি অপরাধের সাজার জন্য মেয়র পদে প্রার্থীতা বাতিল বা প্রত্যাহারের কোনো নিয়ম নির্বাচনী আইনের নেই ।

Exit mobile version