কে এই গনিম-আল-মুফতাহ্

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p>তিনি কাতারের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং বিখ্যাত একজন ব্যক্তি। উনার হাত ধরেই বেজে উঠলো এবারের ফিফা বিশ্বকাপের দামামা। ২০২২ সালের বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলের আসরের উদ্বোধন করলেন গনিম-আল-মুখতাহ্।&&num;8221&semi; আল বাইয়াত ষ্টেডিয়ামের এই অনুষ্ঠান উপভোগ করলো গোটা বিশ্বের ফুটবল প্রেমী মানুষ।<&sol;p>&NewLine;<p>&&num;8220&semi;গনিম-আল-মুখতাহ্&&num;8221&semi; এর শরীরের নিচের অংশ নেই&comma; জন্মের আগেই দুটো পা হারিয়ে ফেলেন। &&num;8220&semi;কোডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম”রোগে আক্রান্ত গনিমের শরীরের নিম্নাংশ না থাকা সত্বেও তিনি গোটা কাতার তথা আরব দুনিয়ার একজন রোল মডেল। আরবের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর ভক্ত&comma; সমর্থকবৃন্দ।<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি একজন বিশ্ববিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পীকার। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে উজ্জীবিত&comma; বর্ণময় হয়ে ওঠে হাজার বর্ণহীন জীবন।<&sol;p>&NewLine;<p>গনিম যখন মাতৃগর্ভে রয়েছেন&comma; তখনই আলট্রা-সাউন্ড মেশিনে ধরা পড়ে তাঁর শরীরের অবিকশিত অংশ। ডাক্তার গর্ভপাতের নিদান দেন। কারণ&comma; অপূর্ণাঙ্গ সন্তানের জন্ম দেওয়ার চেয়ে তাকে জঠরে হত্যা করে দেওয়া শ্রেয়।<&sol;p>&NewLine;<p>গনিমের মাতা-পিতা এই সিন্ধান্ত মেনে নিতে পারলেন না। কারণ&comma; ইসলামের নিদান অনুযায়ী গর্ভপাত হলো চূড়ান্ত অপরাধ।মাতা &&num;8220&semi;ইমান-উল-আবদেলি&&num;8221&semi; এবং পিতা &&num;8220&semi;মুহাম্মদ-আল-মুফতাহ্&&num;8221&semi; এটাকে মহান আল্লাহর সিন্ধান্ত হিসেবে মেনে নিয়ে&comma; বিকলাঙ্গ সন্তানের জন্ম দিলেন।<&sol;p>&NewLine;<blockquote><p>মাতা পিতার উদ্দেশ্যে বলেন &&num;8211&semi; &&num;8220&semi;আমি হবো সন্তানের বাম পা&comma; আর&comma; তুমি হবে তার ডান পা। আমরা দুজনে সন্তানকে কখনো নিম্নাংশের অভাব টেপ পেতে দেবো না।&&num;8221&semi;<&sol;p><&sol;blockquote>&NewLine;<p><img class&equals;"alignnone size-full wp-image-42695" src&equals;"https&colon;&sol;&sol;www&period;banglakagoj&period;com&sol;wp-content&sol;uploads&sol;2022&sol;11&sol;562114DB-7267-49C8-96C2-04E9DA073F2F&period;jpeg" alt&equals;"" width&equals;"800" height&equals;"450" &sol;><em>ছবিতে&colon; বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে গনিম-আল-মুফতাহ্<&sol;em><&sol;p>&NewLine;<p>৫ই মে ২০০২ সালে পৃথিবীর আলো দেখেন গনিম। শিশুকাল থেকেই পদে পদে সামাজিক বঞ্চনার শিকার হয়ে পড়েন তিনি। স্কুল&comma; খেলার মাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে অপমানিত করা হতো। তিনি এসবের তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যেতেন নিজ পথে&comma; একেবারে নিজস্ব ছন্দে। বন্ধুদের বোঝাতেন &&num;8211&semi; তাঁর অসম্পূর্ণ শরীরের জন্য তিনি মোটেও দোষী নন। আল্লাহ তাঁকে যে পরিমাণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ প্রদান করে পাঠিয়েছেন&comma; এর জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।<&sol;p>&NewLine;<p>নিজের সহপাঠী&comma; বন্ধুবান্ধব-কে এসব বোঝাতে বোঝাতে নিজের অজান্তেই তিনি হয়ে ওঠেন একজন মোটিভেশনাল স্পীকার।<&sol;p>&NewLine;<p>একদিন যাঁর ভুমিষ্ট হওয়া নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ ছিলো&comma; তাঁর হাতে উদ্বোধন হলো বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত এক প্রতিযোগিতার আসর।<&sol;p>&NewLine;<p>কাতারের ২০ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী যুবক আজ সেদেশের শান্তির দূত হিসাবে গোটা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গেছেন। এছাড়া তিনি একজন মোটিভেশনাল স্পীকার&comma; কবি&comma; সাহিত্যিক&comma; দারুণ বক্তা হিসাবে আরব দুনিয়া তথা গোটা বিশ্বের কাছে সমাদৃত।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; সুমন মাহমুদ&comma; কানাডা প্রতিনিধি<&sol;p>&NewLine;