অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া চীনা ছাত্রদের ভিসা ‘আগ্রাসীভাবে’ বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীর সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে বা যারা জটিল বিষয়ে পড়াশোনা করছে তারা এই পদক্ষেপের আওতায় পড়বে।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যতে চীন ও হংকং থেকে আসা ভিসা আবেদনকারীদের ওপর ‘নজরদারি বাড়াতে’ ভিসা প্রক্রিয়ার মানদণ্ড ও পরিবর্তন করা হবে বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক মাসগুলোয় চরম রূপ নিয়েছে, কারণ ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ককে কেন্দ্র করে দুই পরাশক্তির মধ্যে বাণিজ্য-যুদ্ধ শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিও সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোকে শিক্ষর্থীদের ভিসার সাক্ষাৎকার দেওয়া বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এখন এসব আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আরও বড় পরিসরে যাচাই করতে যাচ্ছে।

প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার চীনা শিক্ষার্থী গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক ছাত্রদের বড় অংশ চীনা নাগরিকরা, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা বদলেছে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে অনেক বিদেশি ছাত্রকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করেছে এবং হাজার হাজার ভিসা বাতিল করেছে। অবশ্য এসব সিদ্ধান্তের অনেকগুলোই আদালত ঠেকিয়ে দিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শত শত মিলিয়ন ডলার ফান্ডের বরাদ্দ থেকে আটকে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, হার্ভার্ডসহ দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব বেশি উদারপন্থি এবং ক্যাম্পাসে ইহুদি বিরোধিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা ব্যর্থ।

এ দিকে অনেক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি ছাত্রদের কাছ থেকে আসা টিউশন ফি-র ওপর নির্ভর করে, কারণ বিদেশি ছাত্ররা সাধারণত বেশি ফি দেয়।

অনেক আন্তর্জাতিক ছাত্র এই ভিসা নীতির পরিবর্তনে হতবাক হয়ে পড়েছে। কিছু ছাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত।