Home কলাম চোখ

চোখ

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>ড&colon; বাহারুল হক &colon;<&sol;strong> চোখ একটা অত্যান্ত জটিল শারীরিক অঙ্গ। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ যারা তারাও ভাগ হয়ে আছেন চোখের বিভিন্ন অংশ নিয়ে। যেমন&comma; কেউ কর্ণিয়া বিশেষজ্ঞ&comma; কেউ রেটিনা বিশেষজ্ঞ&comma; কেউ কেউ আবার ল্যাকরিমাল গ্ল্যান্ড বিশেষজ্ঞ। এরকম আরো অনেক। চোখের যে অংশে যে অসুবিধা হোক শেষ পর্যন্ত সমস্যা যেটা সেটা হলো দর্শনে। বাংলাদেশে চক্ষুরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন মোটামোটি ভাল। চক্ষু রোগের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ১৯৬০ সনে প্রথম একটি পৃথক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা জনাব মীর্জা আহমেদ ইস্পাহানীর নামে এই হাসপাতালের নাম হয় ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই হসপিটাল যেটি ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত দেশে চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র্র বলতে শুধু এই হাসপাতালকে বুঝাতো।<br &sol;>&NewLine;যাদের পক্ষে ঢাকা যাওয়া সম্ভব তারা চোখের রোগের চিকিৎসার জন্য আসতো এই ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতালে এবং সেবা নিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সনে। দেশ স্বাধীন হলে ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই হসপিটালের কার্য পরিধি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়&comma; এটি রুপান্তরিত হয় একটি ইনিষ্টিটিউটে এবং নাম হয় ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনিষ্টিটিউট এন্ড হসপিটাল। স্বাধীন বাংলাদেশে পুরোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবার আগে চলে আসে চট্টগ্রামে অবস্থিত চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স-এর নাম। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৭৩ সনে। ১৯৭৩ সন থেকে দেশের চক্ষুরোগীদের সেবা দিয়ে আসছে এই প্রতিষ্ঠান। এখনতো এটি বাংলাদেশের গর্ব&comma; একটি আন্তর্জাতিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র্র। ফয়েজ লেকের পাশে কিঞ্চিত পাহাড়িয়া এক ভূমিতে নির্মিত হয়েছে এ নয়নাভিরাম কমপ্লেক্স। দেশের তো বটেই পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা&comma; মেঘালয়&comma; মিজোরাম&rpar; অনেক রোগীও এখানে আসেন সেবা নিতে। এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিক্যাল সাইন্সেস এর অন্তর্ভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে বহু বছর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব এডভান্স স্টাডিজের সদস্য ছিলাম। ফলে এ প্রতিষ্ঠানকে ভালোভাবে জানার সুযোগ পেয়ে ছিলাম। এক কথায় চমৎকার একটা প্রতিষ্ঠান। দেশে জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে রোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে চক্ষু ডাক্তারের এবং ভালো চক্ষু হাসপাতালের চাহিদা। বিপুল সংখ্যক রোগী এবং ডাক্তারের চাহিদা পূরণে ১৯৯০ সনে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল আই সাইন্সি ইনিষ্টিটিউট এন্ড হসপিটাল। এখানেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যাক রোগী সেবা পাচ্ছে। এটিও আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠান। পাঁচ শত স্বাস্থ কর্মী&comma; প্রায় একশত ডাক্তার&comma; দেড় ডজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অবিরাম সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এই হাসপাতালে। চোখ নিয়ে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান এখন এ হাসপাতালেই হয়। এখানে আছে গেøà¦¾à¦•ুমা&comma; কর্ণিয়া&comma; রেটিনা&comma; প্যাডিয়াট্রিক অপথালমোলজি&comma; নিউরো-অপথালমোলজি&comma; কমিউনিক্যাবল অপথালমোলজি&comma; লো-আইভিশনসহ অনেক ডিপার্টমেন্ট। তবে সামগ্রিকভাবে বিচার করলে বলতে হয় চক্ষু চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটা ভালো পরিবর্তন এসেছে নব্বইয়ের দশকে এর আগে অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। রেটিনা সমস্যা খুব জটিল এবং প্রকট হলেও রেটিনা বিশেষজ্ঞের সংখ্যা ছিল খুব কম এবং এ জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য সার্জারির ব্যবস্থাও উন্নত মানের ছিল না।<&sol;p>&NewLine;<p>মায়োপিয়া চোখের একটা কমন সমস্যা। যাদের চোখ মায়োপিক তারা হয় অল্পদর্শিতা। দূরের বস্তু পরিস্কারভাবে তাদের দৃষ্টিগোচর হয় না। সুস্থ্য চোখের একজন মানুষ যে ভাবে সব দেখে মায়োপিক চক্ষু যাদের তারা সে ভাবে দেখতে পায় না। চোখের অভ্যন্তরে যে পর্দার উপর বস্তুর প্রতিবিম্বের সৃষ্টি হয় তাকে বলে রেটিনা। আলো বস্তুর উপর থেকে প্রতিফলিত হয়ে চোখের কর্নিয়া ও লেন্সের ভিতর দিয়ে পড়ে রেটিনার উপর। তাতে রেটিনার উপর সৃস্টি হয় বস্তুর প্রতিচ্ছবি এবং বস্তু গোচরিভুত হয়। কিন্তু কোন কারণে যদি বস্তুর প্রতিচ্ছবি সঠিকভাবে রেটিনার উপর না পড়ে তখন বস্তুটি আর দেখা যায় না ভালভাবে। এখন প্রশ্ন হলো- কেন প্রতিচ্ছবি রেটিনার উপর পড়ে না&quest; চোখের আইবলের আকার পরিবর্তিত হলে এই সমস্যা দেখা দেয় এবং এই সমস্যাকে বলে মায়োপিয়া। চোখের আইবল যখন স্বাভাবিক থেকে কিছুটা ডিম্বাকৃতি ধারন করে তখন চোখের লেন্স কর্নিয়াও কিঞ্চিত বেঁকে যায়। ফলে বস্তুর উপর থেকে প্রতিফলিত আলো কর্নিয়া ও লেন্স ভেদ করে চোখের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে একটু বাঁকা পথ ধরে রেটিনার দিকে এগিয়ে যায়। প্রতিফলিত আলো চোখের অভ্যান্তরে বাঁকা পথ ধরে বলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার উপর না পড়ে রেটিনার সম্মুখে পড়ে। বস্তুটি তখন আর স্পস্ট ভাবে দেখা যায় না। চক্ষুবিজ্ঞানিদের নিরলস প্রচেস্টায় মায়োপিয়া সমস্যার সমাধান বের হয়েছে। মায়োপিয়ার উপর কাজ করে যিনি সবচেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি হলেন রাশিয়ান আই সার্জন প্রফেসর নিকোলাভিচ ফিয়োদরভ। প্রফেসর ফিয়োদরভের জন্ম ১৯২৭ সনে। প্রফেসর ফিয়োদরভ রোস্তভ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে অধ্যয়ন করেন এবং সেখান থেকে অর্জন করেন মেডিক্যাল সাইন্সে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রী। পাস করার পর প্রথমে তিনি কাজ শুরু করেন রোস্তভ অবøà¦¾à¦·à§à¦Ÿ নামের একটা ছোট শহরে। তারপর চলে আসেন রাজধানী শহর মস্কোতে। এখানেই ক্যারিয়ার গড়তে শুরু করেন। খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় নিযুক্ত রাশান কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়ে রাজনীতির সাথেও জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু তা তার চক্ষু বিজ্ঞানী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে কোন বাধা হয়নি। তিনি চোখ এবং রাজনীতি দুটো নিয়েই সমান তালে এগিয়ে যেতে থাকেন। তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সন পর্যন্ত কংগ্রেস অব পিউপলস ডেপুটিস-এর সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ সনে রাশান প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়ালৎসিন প্রফেসর ফিয়োদরভকে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করার আহ্বান জানান&comma; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হলে তাকে চক্ষু বিজ্ঞানের মত তার অতি প্রিয় জগত থেকে সংগত কারণে দূরে চলে যেতে হবে ভেবে তিনি রাশান প্রধানমন্ত্রীর পদে আর গ্রহণ করেননি। প্রফেসর ফিয়োদরভ ১৯৯২ সনে নিজেই একটি পার্টি গঠন করেন এবং নাম দেন পার্টি অব ইকোনমিক ফ্রীডোম। অবশ্য তিনি নিজে ছিলেন সেই পার্টির কো-চেয়ারম্যান। তিনি নিজের ছোট পার্টির নমিনেশন নিয়ে ১৯৯৫ সনে নির্বাচন করেন এবং রাশান পার্লামেন্টের নিন্ম কক্ষ দুমা-র একজন সদস্য হন। রাজনীতিতে উচ্চাভিলাসি এই চক্ষু বিজ্ঞানী ১৯৯৬ সনে রাশান প্রেসিডেন্সিয়্যাল ইলেকশনেও একজন প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। আর চক্ষু বিজ্ঞানী হিসেবে তার কর্মকান্ডের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। প্রফেসর ফিয়োদরভ মায়োপিয়া সমস্যার সমাধানে ১৯৭০ সনে প্রথম উদ্ভাবন করেন রেডিয়েল কেরাটোটমি। রেডিয়েল কেরাটোটমি একটি সার্জিক্যাল টেকনিক। এ টেকনিকের মাধ্যমে চোখের কর্নিয়ার আকার পরিবর্তন করে মায়োপিয়ার চিকিৎসা করা হয়। প্রফেসর ফিয়োদরভ ১৯৮০ সনে রাস্ট্রিয় প্রতিষ্ঠান মস্কো রিসার্স ইনিস্টিটিউট অব আই মাইক্রোসার্জারির প্রধান নিযুক্ত হন। এরপর এ খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে সিলিকোন নামক এক বিশেষ পলিমার ব্যবহার করে প্রফেসর ফিয়োদরভ ১৯৮৬ সনে প্রথম তৈরি করেন ফ্যাকিক ইন্ট্রা-অকিউলার লেন্স। এ লেন্স বিশেষ এক প্রক্রিয়ায় বহিঃর্ভাগে কর্নিয়া এবং লেন্সের মধ্যখানে বা চোখের লেন্সের পিছনে চোখের পোস্টেরিয়র চেম্বারে সুচারুভাবে বসিয়ে দেয়া হয়। এ লেন্স চোখে স্থায়ীভাবে বসানো হলে মায়োপিয়া সমস্যা আর থাকে না। তবে মায়োপিয়া ডিজেনারেটিভ টাইপের হলে সমস্যা প্রকট হয় এবং ফ্যাকিক ইন্ট্রা-অকিউলার লেন্স বসিয়েও কোন কাজ হয় না। মায়োপিয়াকে ডিজেনারেটিভ তখনই বলা হবে যখন দেখা যাবে যে রেটিনা ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে পাতলা হয়ে যাচ্ছে। ডিজেনারেটিভ মায়োপিয়া হলে রেটিনার পিছনে অপ্রত্যাশিতভাবে রক্ত নালীর সমাবেশ ঘটে এবং তাতে চক্ষুস্নায়ুর কার্য ক্ষমতা হ্রাস পায়। রোগী শেষ পর্যন্ত অন্ধ হয়ে যায়। ফ্যাকিক ইন্ট্রাঅকিউলার লেন্সের কাজ হলো বস্তুর উপর প্রতিফলিত আলোকে সঠিকভাবে রেটিনার উপর ফোকাস করা। মায়োপিক আই যাদের তাদের মূল সমস্যাই হলো এই ফোকাসিং। চক্ষু চিকিৎসা জগতে নয়া দিগন্ত উন্মোচনকারী এই আই সার্জন ১৯৮৮ সনে মস্কোতে প্রতিষ্ঠা করেন দুনিয়া বিখ্যাত ফিয়োদরভ আই মাইক্রোসার্জারি কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্স আমাদের দিল নতুন বার্তা&comma; নতুন আশ্বাস। দেশ স্বাধীন হলো মাত্র দুই বছর হলো। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ। চার দিকে শুধু নাই নাই শব্দ। রোগী আছে কিন্তু পর্যাপ্ত ডাক্তার নাই&semi; হাসপাতাল আছে পর্যাপ্ত বেড নাই&comma; অষুধ নাই। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুবই কম। যে কয়েকজন আছেন তারা সবাই ঢাকায়। ঢাকার বাহিরের মানুষের ভালো চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। চোখের ডাক্তারতো মফস্বলে তখন নাই বললেই হয়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষ অনার্সের ছাত্র। ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গেলাম। লক্ষ করলাম আমার ছোট ভাই যার বয়স তখন মাত্র আট বছর সে কোন কিছু স্বাভাবিক দূর থেকে আমাদের মত দেখে না। খুব কাছ থেকে না দেখলে সে দেখে না। আমিতো বিচলিত হয়ে পড়লাম। ফেনীতে কোন চক্ষু ডাক্তার নাই। তাই তাকে নিয়ে গেলাম ঢাকা। ফার্মগেটে অবস্থিত ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তার তার চোখ পরীক্ষা করলো এবং সনাক্ত করলো তার মায়োপিয়া। লেন্স প্রেস্ক্রাইব করলো। মাইনাস ফোর। চশমা নিয়ে দিলাম। আট বছরের শিশুর মাইনাস চার মাত্রার চশমা। মায়োপিয়া তীব্র হচ্ছে। আর আমার ভাইয়ের চশমার পাওয়ারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ছয় মাস পরপর চোখের ডাক্তার দেখানো চলছে&comma; হয় ঢাকা ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতালে নতুবা চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স-এ। আমার ভাই মায়োপিয়া মুক্ত হবে এরকম কোন আশার বাণী কোন ডাক্তারের মুখ থেকে শুনছি না। সব ডাক্তারের এক কথা সারা জীবন চশমা পরেই চলতে হবে। ১৯৮৯ সনে আমার ভাইয়ের বয়স পঁচিশ বছর। ডাক্তার বলতে থাকলেন- এখন বয়স হয়েছে স্থায়ী কোন সার্জারি করার। বিদেশে নিয়ে গিয়ে সার্জারি করিয়ে দেখতে পারেন। আমার এক বন্ধু যে রাশিয়ার মস্কোতে লেখাপড়া করেছে সে বললো আমার ভাইয়ের সঠিক চিকিৎসা মস্কোতে সম্ভব। আমার বন্ধুর মুখে শুনলাম ফিয়োদরভ আই মাইক্রোসার্জারি কমপ্লেক্স এবং এর প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বখ্যাত আই সার্জন প্রফেসর ফিয়োদরভের নাম। আমরা ঠিক করলাম আমাদের ছোট ভাই যে তীব্র মায়োপিক সমস্যা নিয়ে চলছে তাকে সে কমপ্লেক্সে প্রফেসর ফিয়োদরভের কাছে পাঠাবো। তার যাদুকরি হাতের স্পর্শে আমাদের ভাই হয়ত সমস্যা মুক্ত হবে। শুরু হলো যোগাযোগ প্রফেসর ফিয়োদরভের সাথে। বেশি দেরি হয়নি প্রফেসর ফিয়োদরভের পক্ষ থেকে গ্রীন সিগনাল পেতে ১৯৮৯ সনে ভাইকে পাঠিয়ে দিলাম রাশিয়ার রাজধানী মস্কো। এক মাস পর আজকের এই দিনে প্রফেসর ফিয়োদরভ আমার ভাইয়ের চোখে সার্জারি করলেন এবং সেটি ছিল অত্যান্ত সফল এক সার্জারি। প্রফেসর ফিয়োদরভ খুব বড় মাপের একজন দুনিয়াখ্যাত মানুষ। আমরা দুই ভাই খুব সাধারণ ছোট দুইজন মানুষ। কিন্তু প্রফেসর ফিয়োদরভের মত একজন অতি বড় মানুষের সেবা পেয়েছি মনে পড়লে আমার মনে হয় আমরাও দুইজন বড় মানুষ। প্রফেসর ফিয়োদরভ এখন আর বেঁচে নেই। কিন্তু তার কীর্তির জন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন।<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version