অনলাইন ডেস্ক : ঝালকাঠির রাজাপুরের কাঠাখালি বাজার এলাকা থেকে সোমবার বিকেলে সালাউদ্দিন ওরফে সালাউদ্দিন মেকার নামে এক পল্লী চিকিৎসক এবং তার চেম্বারে থাকা কবির ও নজরুল নামে তার দুই সহযোগীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পাশের উপজেলা কাঠালিয়া বাসিন্দা সালাউদ্দিন এক সময় ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরের পুকুর পাড়ে টিভি ও রেডিওর সার্ভিসিং করতেন। সম্প্রতি দেখা যায় তিনি মানুষের চিকিৎসা করছেন। শুক্রবার বাদে সপ্তাহের বাকি ৬ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সকল ধরনের রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তিনি।

পুলিশ জানায়, অভিযান চলার সময় তার চেম্বার কাম বাসা থেকে বিভিন্ন প্রকার এন্টিবায়োটিক ওষুধ জব্দ করা হয়। চেম্বারে একজন চিকিৎসক হিসেবে তার লেখা ব্যবস্থাপত্রও জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চেম্বারে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসা নিতে আসা ২০ জনের বেশি নারী-পুরুষ।

আটক সালাউদ্দিন হাওলাদার জানান, আরএমপি, ডিএমএ, ফার্মাসিস্ট ও ড্রাগ লাইসেন্স আছে তার। তিনি কোর্স করে এ পেশায় এসেছেন। সরকার তাকে সনদ দিয়েছে। তার মোবাইল ও কম্পিউটারের দোকান আছে ভান্ডারিয়ায়। কর্মচারিরা চালায়। তিনিও মাঝে মাঝে দোকানে বসেন এবং এখনও মোবাইল সার্ভিসিং করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ইউএনও সোহাগ হাওলাদার জানান, ‘ভুয়া চিকিৎসক সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে তার বসতঘরে চেম্বার খুলে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কানুদাসকাঠি গ্রামের কাটাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার সময় হাতেনাতে সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়। এসময় বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ওষুধ ও মানুষকে দেওয়া চিকিৎসা পত্র জব্দ করা হয়। আটক ভুয়া ডাক্তার সালাউদ্দিনকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারা অনুযায়ী দুই লাখ টাকা ও সহযোগীদেরকে ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের বেআইনি কাজ করবেন না মর্মেও মুচলেকা দিয়েছেন তারা।