Home আন্তর্জাতিক ‘জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’

‘জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেশটির জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তিনি বলেছেন, ‘পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং এদেশের জনগণের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে, তারা কীভাবে এই সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে।’

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ এমপি ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে টিউলিপের বিষয়টিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বলে অভিহিত করেন ট্যামি ব্রুস।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, বিভিন্ন দোকান ও ব্র্যান্ডে হামলা এবং ইসলামি চরমপন্থার উত্থান নিয়ে প্রশ্ন করেন এক প্রশ্নকারী।

জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দেশটির কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দেশ নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, তা হলো- ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই এই সমস্ত বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন-এমনকি প্রতিবাদ ইত্যাদি-বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষেরই বিষয় এবং অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এখানকার জনগণ উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন,‘তারা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে- যেমনটা আপনারা উল্লেখ করেছেন এবং আমরা বিভিন্ন রিপোর্টেও দেখেছি।’

নির্বাচন নিয়ে ট্যামি ব্রুস বলেন,‘নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি। গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে।

‘কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে- তারা কী বিকল্প বেছে নেবে’, যোগ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।

 

Exit mobile version