অনলাইন ডেস্ক : কানাডার পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাথন উইলকিনসন বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গৃহীত কার্যক্রমে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে কানাডা পিছিয়ে নেই। ২০০৫ সালের তুলনায় ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের জন্য কেন্দ্রিয় সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। আগামী এক দশকের মধ্যে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। গত শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে উচ্চাভিলাসি পরিকল্পনা নিয়েছে।

আমরাও পিছিয়ে নেই। কেন্দ্রিয় সরকার এইখাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ রেখেছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক যে পরিকল্পনা নিয়েছি তা উচ্চভিলাসি তবে বাস্তবায়নযোগ্য। আমার মনে হয় কানাডার জনগণও এমনটাই চায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ ৪০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানকে নিয়ে ২ দিন ব্যাপি লিডারস সম্মেলন আহ্বান করলে হঠাৎ করেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে বাইডেন বলেন, বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবেশ দূষণের মাত্রা ২০০৫ সালের তুলনায় ৫০% কমাতে হবে। তিনি বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে এই লক্ষ্যে কাজ শুরু করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তার দেশ এখাতে তহবিল ৩ গুণ বৃদ্ধি করবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে বাইডেন আরো বলেন, বিজ্ঞানীদের মতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়ার এখনই চূড়ান্ত সময়। সবচেয়ে খারাপ পরিণতি এড়াতে এই দশকেই আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সম্মেলনে অংশ নেয়া জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে শুগা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বণ নিঃসরনের হার ২০১৩ সালের তুলনায় ৪৫% কমিয়ে আনবে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বণ নিঃসরণকারী দুই দেশ ভারত ও চীন নতুন কোনো প্রতিশ্রুতি না দিলেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তার দেশ আগামী এক দশকে কার্বণ নিঃসরণের হার ২০০৫ সালের তুলনায় ৪০-৪৫ শতাংশ হ্রাস করবে। সূত্র : সিবিসি নিউজ