অনলাইন ডেস্ক : স্কটল্যান্ডের ব্লাসগোতে আগামী মাসের শুরু হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলন। এই সম্মেলন বিশ্ববাসীকে হতাশ করতে পারে বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন জলবায়ু বিষয়ক বিজ্ঞানী সেলিম হক। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে ধনী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা সেগুলো রক্ষা করেনি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে সে সময় ধনী দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি তহবিল গঠনের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু ৬ বছর পরেও সেই তহবিল গঠিত হয়নি।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ভিত্তিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক ও বাংলাদেশে পরিবেশ ইস্যুতে সোচ্চার সেলিম হক বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষায় গত ৬ বছরে তারা (ধনী দেশগুলো) কিছুই করেনি, যা তাদের অযোগ্যতা এবং আমাদের মত দেশগুলোর প্রতি অবহেলা। তিনি বলেন, ধনী দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ফলে বৈশ্বিক আবহাওয়া তথা জলোবায়ুতে যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে। এতে অনেক দেশে বন্যা ও ঝড়-জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো শুধু বড় বড় বুলি আওড়াচ্ছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কয়েকটি ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার করা ছাড়া তেমন কিছুই করছে না।

স্কটল্যান্ডে ২৬ তম জলবায়ু সম্মেলন শুরুর আগে কানাডার পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী জনাথন উইলকিনসন বলেছেন, তিনি আয়োজক দেশ গ্রেট ব্রিটেনের প্রতিনিধির সাথে জলবায়ু ফান্ড গঠনের বিষয়ে কথা বলছেন। তারা অন্য সদস্যদের কে এ বিষয়ে চাপ দেওয়ার জন্য একমত হয়েছেন। তবে উইলকিনসন এও বলেছেন যে, কানাডায় গত ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর এখন নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ চলছে। নতুন মন্ত্রিপরিষদে যদি তিনি পুনরায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তাহলে বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তার দেশ আগামী পাঁচ বছরে জলবায়ু তহবিলে ৫.৩ বিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে যা বর্তমান প্রতিশ্রুতির চাইতে দ্বিগুণ। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছেন তাঁর দেশ জলবায়ু তহবিলে ৭৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। পূর্বের প্রতিশ্রুতির চাইতে এই অর্থ ১১ বিলিয়ন ডলার বেশি।

তবে সেলিম হক বলেছেন, মার্কিন প্রতিশ্রুত অর্থ আগের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি হলেও তা যথেষ্ট নয়। কেননা বিশ্বের পরিবেশ দূষণের সিংহভাগই তাদের দ্বারা সংঘটিত হয়। সূত্র : রেডিও কানাডা