বিনোদন ডেস্ক : মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর বসেছে থাইল্যান্ডে। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। ২১ নভেম্বর জানা যাবে কার মাথায় উঠতে যাচ্ছে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’-এর মুকুট। তার আগে প্রতিদিনই বিভিন্ন সেশনে প্রতিযোগীদের নেওয়া হচ্ছে নানা পরীক্ষা।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ১২১টি দেশের প্রতিযোগীরা হাঁটেন নিজ নিজ দেশের ন্যাশনাল কস্টিউম পরে।
বিশ্বের সামনে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য মিথিলা বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্প— জামদানি শাড়ি। তার জাতীয় পোশাকটি দেশের রাজকীয় ঐতিহ্য তুলে ধরেছে।
এছাড়া তার জামদানি শাড়ির মোটিফে আছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা।
ইতোমধ্যে মিথিলা স্যোশাল মিডিয়ায় তার ন্যাশনাল কস্টিউম লুকের ছবি পোস্ট করেছেন।
নিজের অনুভূতি ও পোশাকের বিশেষত্ব প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মিথিলা লিখেছেন— ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল কস্টিউম—“দ্য কুইন অব বেঙ্গল”।’
তিনি বলেন, এটি এমন একটি কাপড়, যার প্রতিটি সুতায় রয়েছে শিল্পকলা, নিষ্ঠা এবং চিরন্তন কমনীয়তা।
এই বিশেষ শাড়িটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি এবং এটি বুনতে সময় লেগেছে ১২০ দিনেরও বেশি। শাড়িটির ডিজাইনার হলেন— আফ্রিনা সাদিয়া সৈয়দা।
মিথিলার পরা এই জামদানি শাড়িতে ফুটে উঠেছে স্নিগ্ধ শাপলা মোটিফ। শাপলা হলো বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শুধু পোশাকেই নয়, মিথিলার সোনার গহনাতেও শোভা পাচ্ছে একই শাপলা ফুল। ৬ ইয়ার্ডস স্টোরি লরা খান এ নকশা করেছেন।
র আগে ২০১৩ সালে ইউনেস্কো এই প্রাচীন শিল্পকলাকে মানবতার এক অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা জামদানির চিরন্তন সৌন্দর্য এবং কারুশিল্পকে বৈশ্বিকভাবে উদযাপন করে। তাঁত থেকে উদ্ভূত এই জাতীয় পোশাকটি হাতে বোনা এক জামদানি শাড়ি, যা সৌন্দর্য, ঐতিহ্য এবং স্থিতিস্থাপকতার এক জীবন্ত প্রকাশ। এর ঐতিহ্য শুরু হয় ১৭ শতকের মোগল যুগ থেকে। সেই সময় জামদানি ছিল রানি ও অভিজাতদের কাছে মূল্যবান।
মিথিলার এ পোশাকটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সেরা সুতির তন্তু। এটি সজ্জিত হয়েছে স্বর্ণালি জরি মোটিফে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী তাঁতশিল্পীদের দ্বারা নিপুণভাবে বোনা হয়েছে এই বিশেষ শাড়িটি।
শাড়ির পাশাপাশি নজর কেড়েছে মিথিলার বিশেষভাবে তৈরি জুয়েলারি ব্লাউজ ও গয়নাগুলোও।
