অনলাইন ডেস্ক : পশ্চিম টরন্টোর ম্যাবেলে এভিনিউতে একটি বহুতল ভবনের বাসিন্দারা তাদের বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। ভবনটি সংস্কারের জন্য পার্কিং স্পেস কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন ‘আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। পাকিং স্পেস কমালে আমরা গাড়ি রাখব কোথায়?

দীর্ঘদিনের পুরানো কিছু ভাড়াটিয়া উপায় না দেখে অন্যত্র বাসা খুঁজতে শুরু করলেও কয়েকজন বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন বলেও জানান।

৩০ তলা ভবনটির মালিক সেখানে ৪৯ তলার নতুন কন্ডো টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। নতুন কাঠামোর সাথে মানানসই রাস্তা ও ওপেন স্পেসের জন্য তাকে পার্কিং স্পেস কমাতে হচ্ছে। ফলে তিনি ভাড়াটিয়াদের গাড়ি রাখার জন্য নতুন গ্যারেজ খুঁজে নেয়ার নোটিশ দিয়েছেন। কিন্তু এতে ভাড়াটিয়ারা পড়েছেন বিপাকে। তারা বলছেন আশপাশে গ্যারেজ পাওয়া যেমন মুশকিল তেমনি এর জন্য বাড়তি খরচ বহন করাও অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়।
গত ১৭ বছর ধরে ওই ভবনে বাস করছেন তৌফিক ফারাহ। তিনি বলেন, আশপাশে গাড়ি পার্কিংয়ের ঘাটতি এতটাই তীব্র যে, হয় আমাকে গাড়ি বিক্রি করে দিতে হবে না হয় অন্য কোথাও চলে যেতে হবে। আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে, কেননা এ দু’টির কোনটাই সম্ভব নয়। কেননা গাড়ি ছাড়া আমার পক্ষে একদিনও চলা সম্ভব নয় আর অন্য কোথাও যাওয়ার স্বামর্থ আমার নেই। তাছাড়া এতদিনের পুরানো আবাসস্থল ছেড়ে আমি কোথাও যেতেও চাই না।
ভবনটির গ্যারেজে বর্তমানে ৫২০ টি পার্কিং স্টল রয়েছে। নতুন নকশায় কতটি স্টল কমবে তার সঠিক হিসাব পাওয়া না গেলেও ১০০ টির বেশি গাড়িকে এখান থেকে সরে যেতে হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পেইড পাবলিক লটে এসব গাড়ি রাখতে গেলে প্রতিমাসে বাড়তি ১০০ থেকে ১৫০ ডলার ব্যয় করতে হবে।

আন্দোলনরত ভাড়াটিয়ারা জানান, তাদের এই সমস্যা প্রথম শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে সময় নর্থ এজ প্রপার্টিজ সেখানে ৪৯ তলা টাওয়ার তৈরির জন্য টরন্টো সিটি করপোরেশনে আবেদন করেছিল। সে সময় সিটি কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি খুব বড় এবং প্রকল্প অনুযায়ী রাস্তা ও খোলা জায়গা না থাকায় তা বাতিল করে দিয়েছিল। কিন্তু মালিক গত বছর অন্টারিও ভ‚মি আদালতে আপিল করে টাওয়ার নির্মাণের অনুমতি লাভ করেন। ফলে এখন তিনি আবার প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, বিল্ডিংয়ের মালিক মূলত তাদের নতুন জায়গা খুঁজে নিতে মাত্র ১ মাসের সময় দিয়েছেন। ফারাহ বলেন, কিছু লোক এখানে ২০ বছর ধরে বসবাস করছে। মাত্র ১ মাসের নোটিশে তারা এতদিনের পুরানো আবাস্থল ছেড়ে কোথায় যাবে? সূত্র : সিবিসি