অনলাইন ডেস্ক : সারাবিশ্বের মতো কানাডাতেও শুরু হয়েছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় বিধান রমজানের রোজা পালন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডো রমজানের শুরুতেই মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

টরন্টোতে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশদ্ভুত তালবিয়া খানের পরিবার। ৮ বছর বয়সে তিনি তার বাবা-মায়ের সাথে কানাডায় আসেন। এখন তিনি নিজেই ২ সন্তানের জননী। স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে এবারের রোজা পালন করছেন কর্মজীবি এই মহিলা। তিনি বলেন, আমি এমন একটি পরিবারে বড় হয়েছি যেখানে সবসময় কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনে থাকতে হয়েছে। ফলে আমার জন্য রোজা পালন খুব কঠিন কোনো বিষয় না। আমি আমার সন্তানদেরও ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করি। তিনি আরো বলেন, ছোট বেলায় বাংলাদেশে দেখতাম রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারে প্রচুর খাবারের আয়োজন করা হতো। সে সব খাবারে বৈচিত্র্যও থাকত। এখন কানাডায় আমরা সেরকম আয়োজন করতে পারি না। তবে আমাদের সাধ্যমত আমরা চেষ্টা করি।

তিনি বলেন, আমিও আমার স্বামী আমরা বাবা-মায়ের মতো এতটা ধার্মিক নই। তবুও রমজানে আমরা চেষ্টা করি ধর্মীয় বিধানগুলো পালন করার। আমাদের রোজা রাখতে দেখে আমাদের ৮ বছরের ছেলে মিখাইলও এবার রোজা রাখতে চেয়েছে। কিন্তু আমরা চাইছিলাম না এত অল্প বয়সে সে এটা পালন শুরু করুক। তাই তাকে বুঝিয়ে আধাবেলা রোজা রাখতে রাজি করিয়েছি। তার বাবা তাকে বলেছে ধিরে ধিরে সময় বাড়িয়ে সে একদিন ঠিকই পুরো রোজা রাকতে পারবে।

তালবিয়া খান বলেন, এবার করোনা মহামারির কারণে রোজায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তিনি স্বীকার করেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেহরি ও ইফতার করা একটু কঠিন, তবুও আমাদের সবকিছু মেনে নিয়েই ধর্মীয় বিধান পালন করতে হবে। সূত্র : রেডিও কানাডা