টরন্টোর রাস্তায় শীতার্ত উদ্বাস্তু

অনলাইন ডেস্ক : ফেডারেল এনডিপি নেতা জাগমিত সিং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে পাঠানো একটি খোলা চিঠিতে টরন্টোতে উদ্বাস্তু আবাসন ‘সংকট’ নিরসনে তার সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

লিবারেল সরকার উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত খরচ মেটানোর জন্য গত জুলাই মাসে টরন্টোকে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অন্য দিকে, টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া চাউ বলেছেন, চলতি বছরই নগরীর বাড়তি ১০ কোটি ৩০ লাখ ডলার তহবিল প্রয়োজন। আর ২০২৪, ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে প্রয়োজন হবে ২৫ কোটি ডলার।

জাগমিৎ সিং তার চিঠিতে লিখেছেন, টরন্টোতে গৃহহীন মানুষের যে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তা সংকটের পর্যায়ে চলে গেছে। যেসব মানুষ নতুন জীবন শুরু করার উদ্দেশে নগরীতে এসেছেন তাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জায়গা না থাকায় শেল্টার সেন্টার থেকে ফেরত আসার পর অনেক সময়ই তাদেরকে রাস্তায় ঘুমাতে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি রাতে টরন্টোর শেল্টার সিস্টেম থেকে ৩০০ জনের বেশি মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শীত ক্রমশ জেঁকে বসতে শুরু করায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।

টরন্টো আরও বেশি আশ্রয় ও গরম স্থানের ব্যবস্থা করতে কাজ করছে। কিন্তু চাহিদা সঙ্গে এটি তাল মেলাতে পারছে না। এজন্য সিটি অব টরন্টোর প্রয়োজন ফেডারেল স্তরে অর্থবহ অংশীদার।
সংকটের দাবি অনুযায়ী আপনার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে জরুরিভিত্তিতে কাজ করার।

এই ছুটির মৌসুমে কারোই রাস্তার ওপর ঘুমানো উচিত নয়। সিটি কর্তৃপক্ষ বলেছে, টরন্টোর শেল্টার সিস্টেমে আশ্রয় প্রার্থনাকারীদের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৯০০-তে দাঁড়িয়েছে, আগের দুই বছরের তুলনায় যা ৪৪০ শতাংশ বেশি। সিটি কর্তৃপক্ষ ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে তাদের সিস্টেমে ৫০০ শয্যা যোগ করলেও চাহিদা অনুপাতে তা কম এবং উদ্বাস্তুদের প্রায় সময়ই পিটার স্ট্রিট রেফারেল সেন্টার ডাউনটাউনের বাইরে ঘুমাতে হচ্ছে। কারণ, অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ তারা পাচ্ছেন না।

জুলাই মাসে ফেডারেল অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছিলেন, ফেডারেল সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য টরন্টোকে প্রচুর সহায়তা প্রদান করছে এবং আরও আর্থিক সহায়তার জন্য শহরের মেয়র অলিভিয়া চাও-এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ‘সীমাহীন’ পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে পারে না। তবে চাও আবাসন উদ্বাস্তুদের খরচ মেটানোর জন্য অতিরিক্ত তহবিলের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য ফেডারেল সরকারের কাছে তদবির অব্যাহত রেখেছেন। সূত্র : সিটিভি নিউজ