অনলাইন ডেস্ক : টরন্টোর সাবেক মেয়র জন টরির পদত্যাগের পর তাঁর শূন্যস্থান পূরণের জন্য আগামী ২৬ জুন, সোমবার উপ-নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সিটি ক্লার্ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেয়র পদপ্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ আগামী ৩ এপ্রিল, সোমবার সকাল ৮:৩০টা থেকে ১২ মে, শুক্রবার দুপুর ২টা চলবে এবং টরন্টোর ভোটাররা ৮ জুন থেকে ১৩ জুনের মধ্যে আগাম ভোট দিতে পারবেন। সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপ-নির্বাচনটি সিটি কাউন্সিলের আসন্ন সভার উপর নির্ভরশীল। যেখানে কর্মীরা মেয়রের অফিসটি আনুষ্ঠানিকভাবে শূন্য ঘোষণা করার জন্য ক্লার্কের সুপারিশ বিবেচনা করবে এবং টরির পদে স্থলাভিষিক্ত করার জন্য উপনির্বাচনের প্রয়োজনে একটি উপ-আইন পাস করবে।

উল্লেখ্য, সহকর্মীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে মেয়র জন টরি পদত্যাগ করেন। গত ১০ ফেব্রæয়ারি, শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সহকর্মীর সাথে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তারপর ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন। টরন্টোর ডেপুটি মেয়র জেনিফার ম্যাককেলভি বর্তমানে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনে জিতে প্রথম বারের মত মেয়রের দায়িত্ব নেন জন টোরি। পরে ২০১৮ সালে এবং ২০২২ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে পরপর তিন বার তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।

এবারের উপনির্বাচনের জন্য আনুমানিক বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ১৩ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার। করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে টরন্টো সিটি’র এই বিশাল ব্যয় অনাকাংখিত। তবে মেয়রের শূন্য পদ পূরণের জন্য অবশ্যই নির্বাচনের প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান আর্থিক সংকটের কারণে নির্বাচনের প্রতি টরন্টোবাসীর তেমন কোন আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। গত বছরের অক্টোবরে মেয়র নির্বাচনে ভোটারদের স্বতস্ফূর্ততা একেবারেই ছিল না, বরং ভোটাদের উপস্থিতি ছিল একেবারে হতাশাজনক। মাত্র ৩০ শতাংশ টরন্টোর নাগরিক সেই নির্বাচনের ভোটে অংশগ্রহণ করেন। এবার দেখা যাক, টরন্টোর নতুন মেয়র নির্বাচনের জন্য অধিকাংশ ভোটার ভোট কেন্দ্রমুখী হন কি না? সূত্র ঃ সিবিসি নিউজ