Home কানাডা খবর টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১...

টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন

টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ভার্চুয়াল কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১-তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নরম মিলার, এমপিপি, যিনি ওন্টারিও প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ডের সংসদ বিষয়ক সহকারী। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাসকাচুয়ান প্রদেশের বাণিজ্য ও রফতানি উন্নয়নমন্ত্রী জোডি ব্যাংকস। ওন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড এবং ম্যানিটোবা প্রদেশের ডেপুটি প্রিমিয়ার কেলভিন গোয়ের্তজেন এ উপলক্ষে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে ওন্টারিও, সাসকাচুয়ান, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা ও ম্যানিটোবা প্রাদেশিক সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ক‚টনীতিক, স্থানীয় কানাডিয়ান গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীগণ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জন রেইস, এমএলএ এবং ম্যানিটোবার সামরিক বিষয়ক বিশেষ দূত; আনিশ দ্বিবেদী, ওন্টারিও প্রিমিয়ারের বিশেষ উপদেষ্টা; ক্যারা রাউসান, ওন্টারিও রাষ্ট্রাচার প্রধান; শ্যানন হ্যাগার্টি, আলবার্টার রাষ্ট্রাচার প্রধান; লুসি লবমিয়ার, ব্রিটিশ কলম্বিয়ার রাষ্ট্রাচার প্রধান; জেমস র‌্যামার, টরন্টো পুলিশ সার্ভিসের প্রধান; আমিন মিয়া, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কানাডা; মোস্তফা কামাল, সভাপতি, অন্টারিও আওয়ামী লীগ; সৈয়দ হোসেন মনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুনতাকা আহমেদ, প্রেসিডেন্ট, টরন্টো ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন।

ওন্টারিও প্রিমিয়ার এবং ম্যানিটোবার ডেপুটি প্রিমিয়ার তাদের বিশেষ ভিডিও বার্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।


প্রধান অতিথি নরম মিলার এমপিপি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সাসকাচুয়ানের উপমন্ত্রী জোডী ব্যাংকস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গতিশীল বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য, কৃষি, গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে একত্রে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও ত্যাগের উদাহরণ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতাকামী মানুষদের অনুপ্রেরণার এক মহান উৎস হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন আমাদের জন্য এক অমূল্য শিক্ষা এবং বিশ্ব শান্তির জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। জাতির পিতার ত্যাগ ও সংগ্রামকে স্মরণ করে কনসাল জেনারেল তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার অভিযাত্রায় সকলকে সহযোগিতার আহবান জানান।

দিনের প্রথম ভাগে সকালে কনসাল জেনারেল বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে ভার্চুয়াল কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি বিশদভাবে উদযাপন হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপনে কনস্যুলেটের সকলের অংশগ্রহণে বিশেষ কেক কাটা হয়। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কনস্যুলেট জেনারেল কর্তৃক স্পন্সরকৃত “নাচের পুতুল” নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। সবশেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Exit mobile version