দুর্গাপূজোর আবেগ বাঙালির চিরন্তন। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতিবারের মত এবারও টরন্টো দুর্গাবাড়ী ৫ দিনব্যাপী উদযাপন করেছে বাঙালির সব থেকে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান “শারদীয় দুর্গোৎসব-২০১৯”। গীতিনাট্যের ছন্দে মহালয়া এবং মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে হিন্দু বাঙালির মহোৎসব আরম্ভ হয় ৩রা অক্টোবর। দুর্গাবাড়ীর ১০ম বর্ষপূর্তিতে এবারের শারদোৎসব এক বর্ণিল রুপে সজ্জিত। বর্ণাঢ্য আয়োজন, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে, ভক্তির প্রাচুর্যে বাঙালি হিন্দু তিথি মোতাবেক, শাস্ত্রমতে সাধ্যমত এই উৎসব উদ্যাপন করে। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর সকালে পুস্পাঞ্জলি ও সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় স্থানীয় ও ভারতীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দুর্গাবাড়ীর ভিতরের ও বাইরের আকর্ষণীয় আলোকসজ্জা টরন্টোরবাসীর হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আশেপাশের শহরগুলো থেকে দল বেঁধে পুজো দেখতে আছে। সে এক অপরূপ মিলনমেলায় পরিণত হয় দুর্গাবাড়ী। ৭ই অক্টোবর বিজয় দশমীর মাধ্যমে এই উৎসবের সম্পন্ন হয়। দশমীতে সিদুঁর খেলায় শুভেচ্ছা ও প্রীতির এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
যেখানে আমরা বুঝতে পারি ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-নির্বিশেষে সকল মানুষ এক ইশ্বরের সৃষ্টি-এক জগজ্জননীরই সন্তান। আমরা প্রত্যেকেই আপন। আর তাই শারদীয়া দুর্গাপূজা বাঙালি সমাজকে অতিক্রম করে সমগ্র পৃথিবীর মানুষের মধ্যে একাত্মতা অনুভবের এক মহোৎসব। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে দুর্গাপুজো সামাজিক মিলনের একটি উদার ক্ষেত্রস্থল হিসেবেই পরিগণিত হয়েছে। এখানে মলিনতা নেই, হীনতা নেই, নেই কোন ছোট-বড়’র হিসেব কিংবা অভিজাত্যের বড়াই।
এখানে সবাই সব ভুলে মিলবে, মেলাবে, ‘যাবে না ফিরে’।
১২ অক্টোবর লক্ষীপূজা ও ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আপনার সবান্ধব ও সপরিবার উপস্থিতি একান্ত কাম্য ।