মনজুর মাহমুদ : টরেন্টোতে জাঁকজমকভাবে উদযাপিত হলো ‘ঢাকা কলেজ সন্ধ্যা ২০২০’। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন ডিসিজিসি ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার কেনেডি কনভেনশন সেন্টারে বর্ণাঢ্য এ উদযাপনের আয়োজন করে।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো এ ধরণের উদ্যোগ নেয়া হলেও এবারের আয়োজন স্পর্শ করে বেশ কিছু মাইলফলক। এদিন সংগঠনের প্রথম নির্বাচিত কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। এ সময় কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিদায়ী সভাপতি ডক্টর অমিত চাকমা উপস্থিত থেকে নতুন কমিটির সদস্যদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।

এর আগে, আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের প্রথম স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন খ্যাতনামা এ শিক্ষাবিদ। কলেজের বিভিন্ন বর্ষের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সেতুবন্ধনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “কানাডাতে বসবাসরত ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা একইসাথে তিনটি বন্ধনে আবদ্ধ। প্রথমত: আমরা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে একই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। দ্বিতীয়ত: আমরা পৃথিবীর অন্যতম সেরা দেশ কানাডাতে বসবাস করছি এবং তৃতীয়ত: জন্মগত কারণে আমাদের সবাই বাংলাদেশী। আমাদের চলার পথে এসব বন্ধনের গুরুত্ব কিন্তু কম নয়!” এ সময় তিনি ঢাকা কলেজের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন। এরপর কলেজের ১৯৬১ ব্যাচের ছাত্র আসাদুল হাকিম, ১৯৬৬ ব্যাচের ছাত্র তাজ হাশমি এবং ১৯৭০ ব্যাচের ছাত্র সৈয়দ শামসুল আলম অমিত চাকমাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগঠনের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য শহীদ খন্দকার টুকু সবাইকে স্বাগত জানান। পরে সবাই একসাথে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর সংগঠনের আহবায়ক মনির ইসলাম সূচনা বক্তব্যে বলেন, “কানাডাতে বসবাসরত ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের একত্রিত এবং তাঁদের মধ্যে সেতুবন্ধন দৃঢ় করতেই আমাদের এ প্রয়াস।” ঢাকা কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ নেহাল আহমেদ ডিসিজিসি এ উদযাপনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “বিশ্বায়নের এ যুগে সুদূর উত্তর আমেরিকার কানাডায় অবস্থান করা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যূথবদ্ধ থেকে ‘কিছু একটা করছেন’ এ খবর আমাকে আন্দোলিত করে। কানাডাতে বসবাসরত ঢাকা কলেজের বিভিন্ন বর্ষের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ডিসিজিসি’র মাধ্যমে যে একসাথে, কাঁধে কাঁধে যূথবদ্ধ পথ চলা অব্যাহত রেখে চলেছে এজন্য তাঁদেরকে অভিনন্দন। ডিসিজিসি বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হোক অনুপ্রেরণার উত্স।” ঢাকা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক ও বাংলাদেশে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ ডিসিজিসিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারলে খুব খুশি হতাম। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এবার আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না।” বক্তব্য পর্ব শেষে ছোটদের জন্য ছিল ম্যাজিক শো। আর সাংস্কৃতিক পর্বের শুরু হয় নতুন প্রজন্মের ইশারার গান দিয়ে। এরপর একে একে আসেন ফিওনা, ওমর বাবু, সুমন এবং তপু। তবে রাতের খাবারের পর মূল পর্বে ছিলেন রিয়াদ মাহমুদ, ফয়সাল এবং রাজীব হাসান চৌধুরী। সবাই ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। র‌্যাফেল ড্র’র আগে ছিল ছোট ছোট কুইজ। আর উপস্থাপনায় ছিলেন সাজ্জাদুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম মোল্লা তুষার। অনুষ্ঠান আয়োজনে বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন কেএনএস কানাডা, মনির বিল্ডার্স ইন্ক্, মর্টগেজ এজেন্ট মো: আব্দুর রহিম, রিয়েল্টর মোমো ইসলাম, আইনী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কজমো ল’, মর্টগেজ এজেন্ট আনিসুর রহমান, ওমর জাহিদ ল’ প্রফেশনাল কর্পোরেশন, ডা: আব্দুল্লাহ তারেক, মর্টগেজ এজেন্ট আসিফ চৌধুরী, ডা: মো: হাফিজ উদ্দিন, রিয়েল্টর মোহাম্মদ দোজা, জিন বিল্ডিং টেকনোলজি, রিয়েল্টর শামসুল আলম, লাকি একচেঞ্জ, আলম একাউন্টিং এন্ড ট্যাক্স প্রফেশনাল কর্পোরেশন এবং রেড হট তন্দুরি রেস্টুরেন্ট ।