অনলাইন ডেস্ক : দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী রিজওয়ানা সিদ্দিক ওরফে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৫ জুন) দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের স্বাক্ষর করা চিঠি টিউলিপের ঢাকার পাঁচটি ঠিকানায় এসব নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাকে ২২ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো টাকা পরিশোধ না করেই অবৈধ পারিতোষিক হিসেবে ইস্টার্ন হাউজিং থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে রেজিস্ট্রিমূলে দুটি ফ্ল্যাট দখল নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে ২২ জুন দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য আপনাকে আবার সবিনয় অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত সময়ে আপনি উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে এ বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
এর আগে গত ৮ মে টিউলিপকে আরও একবার তলব করেছিল সংস্থাটি। গত ১৪ মে দুদকে তাঁর হাজির হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে সে সময় তিনি দুদকের তলবে হাজির হননি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে গড়ে ওঠা একটি বহুতল ভবন থেকে নিজ নামে একটি ফ্ল্যাট বিনা মূল্যে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে দখলে নিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অর্থ পরিশোধ না করে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কাছ থেকে ফ্ল্যাট নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে অবৈধ সুবিধা দিয়েছেন বলে জানায় দুদক সূত্রটি।
এর আগে পূর্বাচল নতুন শহরে ১০ কাঠা করে নিজের মা শেখ রেহানা, ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর নামে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দের অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুদক। এসব মামলায় তাঁকে ব্রিটিশ মন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনা হয়েছে।