অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেইলর গ্রিন ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস থেকে পদত্যাগ করছেন তিনি। জর্জিয়ার ১৪তম জেলা থেকে নির্বাচিত এ রিপাবলিকান নেত্রী জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বিরোধ এবং ওয়াশিংটনের কথিত “পলিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স”-এর প্রতি হতাশার কারণেই তিনি তৃতীয় মেয়াদের মাঝপথে দায়িত্ব ছাড়ছেন।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া বার্তায় গ্রিন বলেন, তিনি সবসময় সাধারণ আমেরিকানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, কিন্তু রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই দলই জনগণের জন্য বাস্তব পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণ, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং করপোরেট ও বৈশ্বিক প্রভাবশালী শক্তির দাপটকে বড় সমস্যা হিসেবেও তুলে ধরেন।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং তার “মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন” আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী মুখ ছিলেন গ্রিন। তবে সম্প্রতি জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত মার্কিন বিচার বিভাগের নথিপত্র প্রকাশের বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। গ্রিন অভিযোগ করেন, ট্রাম্প এই নথিপত্র প্রকাশে বাধা দেন।

এই বিরোধ তীব্র হওয়ার পর ট্রাম্প গ্রিনকে পাগলাটে ও উন্মাদ বলে কটাক্ষ করেন এবং তার প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করেন। পাশাপাশি তিনি জর্জিয়ায় গ্রিনের বিরুদ্ধে প্রাইমারি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজতে রিপাবলিকানদের উৎসাহ দেন।

গ্রিন বলেন, তিনি নিজের মর্যাদা, পরিবারের শান্তি এবং নির্বাচনী এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে এমন একটি “হিংসাত্মক ও ঘৃণামূলক” প্রাইমারি লড়াইয়ে যেতে চান না।

নিজের ওপর দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত আক্রমণ, মৃত্যুর হুমকি ও আইনগত চাপ উল্লেখ করে গ্রিন বলেন, এসব তার পরিবারকে ক্লান্ত করে তুলেছে। তাই আপাতত তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ফিরে গিয়ে নতুন জীবনের পথে এগোতে চান। তার ভাষায়, বাস্তব পরিবর্তন আনার ক্ষমতা নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের নয়, জনগণের হাতেই।

অন্যদিকে ট্রাম্প গ্রিনের পদত্যাগকে “দেশের জন্য দুর্দান্ত খবর” বলে মন্তব্য করেছেন। এবিসি নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি দুর্দান্ত। আমার মনে হয় তার খুশি হওয়া উচিত।’

সূত্র: আনাদোলু