অনলাইন ডেস্ক : জরুরি সার্ভিস ছাড়া সাধারণ জনগণকে ঢাকায় প্রবেশ এবং ঢাকা ছাড়তে দেবে না পুলিশ। পরবর্তী সরকারি নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুলিশের এআইজি সোহেল রানা স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী সরকারি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জরুরি সার্ভিস ব্যতীত সাধারণ জনগণকে ঢাকায় প্রবেশ অথবা ঢাকা ত্যাগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশ পুলিশ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জনগণের ঘরে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। জনগণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য যেকোনও জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত এককভাবে বা দলবদ্ধভাবে বাইরে ঘোরাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাজে সহযোগিতা করার জন্য দেশের সকল সম্মানিত নাগরিক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে।

এর আগে ঢাকা থেকে যাতে কোনও লোক বাইরে যেতে না পারে এবং বাইরে থেকে কোনও মানুষ যাতে ঢাকায় আসতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খোলার খবরে শনিবার রাজধানীমুখী শ্রমজীবী মানুষের ঢল নামে। দিনভর হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ হেঁটে ও বিভিন্ন মাধ্যমে রাজধানীতে আসতে থাকেন। এতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার যে নির্দেশনা ছিল, সেটা মুখ থুবড়ে পড়ে। রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাজধানীমুখী মানুষের ঢল থামাতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি সোহেল রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইজিপি সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রথমে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে মানুষের জনসমাগম ও অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া ঠেকাতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীকে। এরই মধ্যে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খোলার খবরে শনিবার রাজধানী অভিমুখে শ্রমজীবী মানুষের ঢল নামে। যদিও পরে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।