অনলাইন ডেস্ক : সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ার তারেক রহমানের ৯ বছরের এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব কাজে বিভিন্ন সময় তারেককে সহযোগিতা করার দায়ে তার স্ত্রীকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে চার মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে তারেকের। আরও একাধিক মামলা চলমান তার বিরুদ্ধে। তবে তার স্ত্রী জুবাইদার বিরুদ্ধে এটি প্রথম ও একমাত্র মামলার রয়ে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবীরা।

২০০৭ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক ও তার স্ত্রী জুবাইদার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৬(২) ধারার অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর এবং ২৭(১) ধারায় অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর।

এ মামলায় ২৭ জুলাই দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২ আগস্ট তারিখ ধার্য করে।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তারা সন্দেহাতীতভাবে তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া উচিত।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও এর তথ্য গোপন করার জন্য আইনে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১০ বছর ও ৩ বছরের সাজার বিধান আছে।

এর আগে আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ বাদীপক্ষের ৪২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

প্রসঙ্গত, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।