আকতার হোসেন : নিজনপুর গ্রামটা এত নীরব নিস্তব্ধ মনে হয় কাক-কোকিল কিছুই নেই। নদী থাকলে পানি নেই। গাছ থাকলে ফল নেই। মানুষ থাকলেও কারোর মুখে কথা নেই।
নিজনপুরের বাসে একজনই যাত্রী ছিল। রানার কাছে মনে হলো সে যেন পৃথিবীর শেষ প্রান্তে চলে এসেছে। এরপর যেন কিছু থাকতে পারে না। কোনকিছু থাকা উচিৎ না। রানাকে নামিয়ে উঁচু-নিচু পাহাড়ী পথ ধরে বাসটি অদৃশ্য হয়ে গেল। রানা ভাবলো বাসটি বোধহয় পৃথিবী থেকে ধীরে ধীরে নীচে পড়ে গেল।

বাস থেকে নেমে রানা যেখানে পা রেখেছিল সেই পায়ের নীচ থেকে শুরু হয়েছে পায়ে চলার পথ। মাটি দিয়ে বাঁধানো। তবুও মনে হলো মাটিতে মরিচা ধরে গেছে। রানা পকেট থেকে একটা কাগজের টুকরো বের করে ঠিকানা দেখে হাঁটতে শুরু করলো। গন্তব্য দারোগা-বাড়ি।
মিনুর বিয়ে হয়ে যাবার পর রানা তাদের গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যায়। শহরের বেকার জীবন আর যান্ত্রিক ভালোবাসায় রানার পেট ফুলে উঠেছিল। কিন্তু ফিরে যাবার মতো কোনো জায়গা নেই। গ্রাম আছে কিন্তু মিনু নেই। সুখ-দুঃখের সাথী নেই। যার জীবনে মিনু নেই তার জীবনে সুখ থাকে না দুঃখও থাকে না। জীবনটা কোনভাবে পার করে দিতে পারলে রানা বেঁচে যেতো।

হাতে ক’টা পয়সা থাকলে যা খুশী করে জীবনটা কাটানো যায়। কিন্তু রানার অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে পয়সার জন্য যা খুশী তাই সে করতে পারে। একদিন পত্রিকায় দেখলো এক ভিন্নধর্মী বিজ্ঞাপন। আশি বছরের এক বৃদ্ধাকে সেবা যতেœর জন্য একজন যুবক-যুবতীর প্রয়োজন। মোটা বেতন দেয়া হবে। বৃদ্ধার সেবা যতেœর অর্থ হলো সকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে সকাল তার পয়-পরিষ্কার নাওয়া-খাওয়া ইত্যাদি। ইন্টারভিউ রানা শহরেই দিয়েছিলো। পিছু চিন্তা নেই। সুখ-দুঃখের কামনা-বাসনা নেই, তাই রানার কপালে চাকরিটা সহজেই জুটে গেলো। সেই চাকুরী নিয়ে এসেছে নিজনপুর।

রানাকে প্রথমে দারোগা-বাড়িতে গিয়ে হাজিরা দিতে হলো। দারোগা-বাড়ির নাম শুনলে মানুষের শরীর থেকে লোম খসে পড়ে। গাছগাছালি পত্র বিহীন হয়। শিশুরা মায়ের দুধ ছেড়ে দেয়। নদীর পানি উল্টোদিকে বইতে শুরু করে। আলিম দারোগার ছয় ছেলেমেয়ে। বড়ো মেয়েটির নাম তসরিন বিবি। এই তসরিন বিবিই এখন আশি বছরের বৃদ্ধা। তারই দেখাশুনা করার জন্য রানা আসছে। একজন লোক রানাকে টিলার উপর নিরালা কুটিরে পৌঁছে দিয়ে গেল। যে গ্রামটিকে রানা মনে করেছিল পৃথিবীর শেষ প্রান্ত সেই গ্রামটারও একদম শেষ প্রান্তে এই নিরালা কুটির। শিমুল গাছের নীচে একটি টিনের ঘর। শিমুলের ছায়া পড়ে সেই ঘরের চালে। ছায়া-ঢাকা সেই চালের নীচে দিনরাত শুয়ে থাকে তসরিন বিবি। বিবিকে দারোগা বাড়িতে না রাখার কারণ হলো তার এক মারাত্মক অসুখ হয়েছে। হাত-পায়ের আঙ্গুল থেকে মাংস খসে পড়েছে। গায়ের চামড়া সাদা সাদা হয়ে যাচ্ছে। যে ছোঁবে তারও সেই রোগ হবে। কেউ তাকে দেখাশোনা করতে চায় না। গ্রামের দু’জন মহিলা এবং তিনজন পুরুষ বিভিন্ন সময় বিবির দেখাশোনা করতো। সুযোগ পেয়ে তারা সকলেই ভেগে গিয়েছিলো। এই পাঁচজনই পরে জিনের হাতে মারা পড়েছে। কাউকে বিবিকে দেখাশোনা পুকুরে ডুবিয়ে, একজনকে গলা টিপে, আর দুইজনের বুকে ছুরি বসিয়ে মেরে গেছে জিন। রানাকে যেন জিনে না ধরে সেজন্য দারোগা বাড়ি থেকে একটি তাবিজ বেঁধে দিয়েছে।
তিনদিন যাবৎ কেউ বিবির পয়-পরিষ্কার করেনি। ঘরের ভেতর ঢুকতে যাবে অমনি দুর্গন্ধে রানার নাড়ীভুঁড়ি উল্টে এলো, তিনদিন থেকে বিবি একা একাই কথা বলে যাচ্ছে। উত্তর দেবার কেউ নেই। বিবি একা একা অনেক কথা বলে। তার সব কথা শোনা তো দূরের কথা, অল্প কিছুই কেউ শুনতে চায় না। বিবি শুধু অনবরত কথাই বলে না, উচ্চস্বরে কথা বলে। কথায় কথায় ধমক দেয়।

রানার ইচ্ছে হলো ফিরে যেতে। টিলা বেয়ে নীচে নামতে গিয়ে দেখে যে লোকটি সাথে এসেছিল সে টিলার নীচে বুকে হাত বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। রানা বুঝে নিলো লোকটা আমরণ বুকে হাত বেঁধে এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে।

নাকে মুখে হাত চেপে রানা বিবির ঘরে ঢুকলো। রানাকে দেখে বিবি তো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো। কে তুমি? কী নাম? নতুন চাকরি পেয়েছো বুঝি? বেতন নেবে তো কাজ করছো না কেন? আমার খিদে পেয়েছে। ফলমূল সব পচে গেছে। আমাকে নতুন কিছু দাও।

রানার মনে হলো বিবির বয়স আশি বছর হতেই পারে না। বিবি আটবছরের বুড়ি। আশি বছরে এত কথা কেউ বলতে পারে না। এত ধমক দেবার শক্তি ঐ বয়সের কেউ রাখে না। এতটা সাহসও আশি বছরের কারো থাকে না। রানাও আটবছরের বুড়োদের মতো বলতে লাগলো, ‘এত চিৎকার করছেন কেন, দেখছেন না আমি নতুন এসেছি। চুপ করেন। ঘরটা একটু দেখে নিই। কি অবস্থা করে রেখেছেন। আগে ঘর পরিষ্কার করবো, তারপর খাওয়া দেবো।’

বিবি বলে উঠলো, ‘এই ছেলে তোমার এত সাহস!’
রানা বললো, ‘ছেলে ছেলে করবেন না। আমাকে ছেলে ছেলে করে ডাকলে আপনাকেও মেয়ে মেয়ে বলে গাল দেবো।’
রানার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। খুব অল্প সময়ে রানা ঘরের দুর্গন্ধ দূর করে দিলো, ঝুলঝাড় পরিষ্কার হয়ে গেলো। বিবিকে মুখে তুলে খাওয়ানো শুরু করলো। রানার উপর বিবি আর ফণা তুলতে পারে না। কিন্তু নিজের স্বভাবটাও ছাড়ে না। মাঝে মাঝে চিৎকার দিতেও ভুলে না। তবুও রানাকে যুদ্ধে প্রাথমিকভাবে জয়ী মনে হলো।

বিবির চুলগুলো কাশবনের মতো উড়ছে। হাতপায়ের চামড়া কুমিরের মতো কুঁচকে আছে। বয়সের দমকা হাওয়া বিবিকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলেছে।
দেখতে দেখতে তিনদিন চলে গেলো। তিনদিন পর রানা বিবিকে গোসল করাতে নিয়ে এলো। গোসলখানায় একটা লোহার চেয়ার। বিবিকে সেখানে বসিয়ে গোসল দিতে হবে। বিবির পরণে গাউনের মতো কাপড়টি খুলে দিয়ে একটা হাল্কা কাপড় জড়িয়ে রাখবে ভেবে বিবির গাউনটা খুলে দিলো। সাথে সাথে দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেলো রানার কাছে। হাজারটা মাছি মনে হলো কানের ভেতরে উড়তে শুরু করলো। পৃথিবীর কোনো আশ্চর্য রানা নিজের চোখে দেখেনি। কিন্তু এ আশ্চর্য সকল আশ্চর্যকে ছাড়িয়ে গেলো। বিবির যতটুকু শরীর কাপড়ে ঢাকা ততটুকু শরীরের সাথে বাদ বাকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কোনো মিল নেই।

ঢেকে থাকা শরীরের অংশটুকু একটি ষোড়শীর শরীরের মতো। তুলতুলে বাদামী শরীরটা যেন সিল্কের মতো মসৃণ চামড়ার নীচে চাপা পড়ে আছে। মসৃণ চামড়ার নীচ দিয়ে যেন মধুমতি নদী বয়ে যাচ্ছে। শরীরের উঁচুনিচু পার, ভরাট খঞ্জনী দেখে ইহজগতের উপর রানার মায়া বেড়ে যায়। সব ষোড়শীর শরীর এমন হয় কিনা রানা জানে না। মিনুর শরীরটা এত মসৃণ ছিল না। মিনুর শরীরটা এতটা আঁকাবাঁকাও ছিল না। রানা ভুলে যেতে চাইলো বিবির কাশবনের কথা। কুমিরের মতো ঢেউ খেলানো হাতপায়ের কথা। কিন্তু আশ্চর্য হয় উপরে তাকিয়ে যখন সে কাশবন দেখে, নীচে তাকালে কুমিরের ত্বক দেখে। কিন্তু মাঝখানে তাকালে সে দেখে আঁকাবাঁকা নদী। রানার শরীরে ভূমিকম্প জেগে উঠলো। তার মাথার উপর সূর্যটা নেমে এলো।

রানার জীবনে কোনো বাসনা নেই। কিন্তু বিবির একের ভেতর দুই-এর খবর তার জানতেই হবে। শক্রকে বন্ধু করার শিল্পকলা কাকে বলে তা যেন রানার কাছ থেকে সকলে শিখে নেয়। অল্পসময়ের মধ্যে বিবি রানার বন্ধু হয়ে গেলো। তারপর এক সুযোগে রানা জানতে চাইলো শরীরের গোপন রহস্য। বইতে বইতে যে নদীর ক‚ল-কিনারা ভেঙ্গে গেছে তার মাঝ দরিয়ার চর জাগার কাহিনী শুনতে চাইলো।

বিবি তার যৌবনের কথা শোনালো। আশরাফ আলী নামক যুবকের সাথে তার গোপন প্রণয় ছিলো। এক চাঁদনী রাতে আশরাফ আলীর কাছে নিজেকে বিলিয়ে দেবার কথা ছিলো বিবির। কথামতো দু’জনে বটগাছের নীচে এসে চাঁদনী রাতে মিলিত হয়েছিল। ষোড়শী শরীর আশরাফকে ভোগ করতে দেবার জন্য বিবি চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। আশরাফ আলী বিবিকে বিবস্ত্র করতে যাবে অমনি বিবির বাবার লোকজন এসে তাদের ধরে ফেলে। আশরাফ আলীকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করেই দায়ের কোপে মাথাটিকে শরীর থেকে আলাদা করে দিলো। বিবির চোখের সামনেই সে ধপ করে মাটিতে পড়ে গেলো। এরপর আশরাফ আলীর শরীরটাকে পঞ্চাশ টুকরো করে একটা মাচা বেঁধে তার উপর ছড়িয়ে রাখলো। কাক আর শকুন যতটুকু পারলো ততটুকু আশরাফ আলীকে নিয়ে উড়ে গেলো।

সেই থেকে দারোগাবাড়ির বড়ো মেয়ে বিবির শরীর কেউ স্পর্শ করতে পারেনি। কেউ তাকে বিবক্ষ অবস্থায় ছুঁতে পারেনি। যে যৌবন আশরাফ আলী দেখতে পেলো না সে যৌবন দেখার
সুযোগ বিবি কাউকে দিলো না। বিবি বললো, এই যে রাগারাগি, এই যে চিৎকার করে কথা বলা এগুলো সে নির্ভুলভাবে গত ষাট বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে করে আসছে। কাঁটা তুলে সে শিমুল পাহারা দিচ্ছে। কোনোদিন কাউকে যে কথা বলবে না ভেবেছিল মনের অজান্তে আজ রানাকে সে কথা বলে দিলো। রানার মধ্যে জাদু আছে। আর কেউ যা পারেনি রানা সেটা করে ফেলল। এতদিন পর একজন বন্ধু পাবে বিবি তা ভাবতেও পারেনি। বিবির কথা শুনে রানার চোখ গড়িয়ে পানি নেমে এলো।

মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বিবির প্রতি রানার ভীষণ মায়া জেগে ওঠে। চাঁদনী রাতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বিফল হওয়া এক ষোড়শীর কথা মনে পড়ে যায়। বিবির কাঁচা শরীরটা দেখার জন্য আশরাফ আলীর আত্মা নিয়ে একদিন না একদিন কেউ জন্ম নেবে, স্রোতের টানে ভেসে না যাওয়া শরীর একটি আপন হাতের স্পর্শে গলে যাবে সে আশায় বিবি আজও বেঁচে আছে। দিনের বেলায় খুব ভরসা করে রানাকে কথাগুলো বলেছিল বিবি।

পা টিপে টিপে রানা বিবির ঘরে এলো। রানা লক্ষ্য করেছে রাতে বিবির ভাল ঘুম হয় না। আজ তাই ওর মাথাটা কোলে তুলে নিয়ে ওকে গল্প শোনাবে। মিনুর গল্প বলবে বিবিকে। আজও চাঁদনী রাত। মিনুর কথা চাঁদনী রাতে তার বেশি মনে পড়ে। কিন্তু বিবিকে কিভাবে মিনুর কথা বলবে। বিবির ঘুম এত গভীর যে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেও সে ঘুম ভাঙ্গবে না। বিবি নিশ্চয়ই ভালো কিছু স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্ন দেখলে ঘুমন্ত মানুষের ঠোঁটের কোনায় হাসি ফুটে ওঠে। গত ষাট বৎসরের অধিক সময় এত গভীরভাবে সে ঘুমোতে পারেনি।

বিবির পাশে এসে বসল রান। তারপর অনেকক্ষণ ঘুমন্ত বিবির দিকে চেয়ে থেকে আলতো করে বিবির হাত তুলে নিলো। নিজের হাতে বিবির মুখটাও আলতোভাবে ছুঁয়ে দিল। তারপর ঢেউ খেলানো চামড়ার উপর দিয়ে রানার হাত গড়িয়ে গড়িয়ে চলে গেল মধুমতি নদীতে। বন্যার মতো উতলা হয়ে উঠলো সে হাত। পার অপার সবখানে ভেসে উঠলো কোমল পরশ।
পরের দিন বিবিকে গোসল করানোর জন্য গরম পানির ব্যবস্থা হলো। লোহার চেয়ার পাতা হলো। রানার হাত ধরে ধরে বিবি গোসলখানায় গিয়ে দাঁড়ালো। বিবির শরীর থেকে কাপড় খুলে পাতলা কাপড়ে ঢাকতে যাবে অমনি রানার আবার সেই অবস্থা হলো। কানের ভেতর দিয়ে হাজারো মাছি উড়তে শুরু করলো। শরীরে ভূমিকম্প হলো। সূর্যটা মাথার উপর এসে পড়লো। যে বিবিকে কাল রাতে আদর করে এলো সে বিবির আপাদমস্তক আজ আশি বৎসরের বুড়ি হয়ে গেছে। কোথাও ভিন্নতা নেই। এত যুগের বহমান মধুমতি একদিনেই শুকিয়ে গেছে। রানা বহমান মধুমতি খুঁজে বেড়ায়। নির্ভাজ শরীর খোঁজে। কাশবন আর নদীর ভাঙ্গনের মাঝে ষোড়শী বিবিকে খোঁজে। সে আর আঁকাবাঁকা নদী খুঁজে পায় না। কোনো খাঁজে গিয়ে আটকায় না তার হাত।

বিবিকে ঘরে রেখে রানা শিমুল গাছের নীচে ছুটে আসে। মনটাকে যে শাস্তি দেবে তেমন কোনো দোষ খুঁজে পায় না। যে হাতের স্পর্শে বহমান নদী শুকিয়ে গেছে সে হাত দু’টির উপর রানার ক্রোধ ফেটে পড়ে। শিমুলের কাঁটা দিয়ে সে হাত দু’টি ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে। আকাশ কাঁপানো চিৎকার দিয়ে বলে, ‘তিনি তো সতী ছিলেন। সতী সতী সতী।’
দুপুর নাগাদ নিজনপুরের সর্বত্র খবর ছড়িয়ে পড়লো শিমুল গাছের জিন রানাকে মেরে ফেলেছে। কতগুলো লোক বুকে হাত বেঁধে উপরের দিকে চেয়ে আছে। কিছু কিছু গ্রামবাসী দূরে দাঁড়িয়ে ঝুলন্ত রানাকে দেখছে। রানার গলায় রশি ঝুলানো অথচ হাত দিয়ে রক্তগঙ্গা বইছে।

নিজনপুর সেদিন আরো বেশি নীরব হয়ে গেলো। সেই নীরবতা ভেঙ্গে নিরালা কুটির থেকে আবারও বিবির চিৎকার ভেসে এলো। ‘কেউ কি আমাকে কিছু খেতে দেবে না। আমার অনেক খিদে পেয়েছে।’