‘তীব্র চাপের মুখে’ নেতানিয়াহুর সরকার

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> ইসরায়েলে বিচার বিভাগে সংস্কারের এক বিতর্কিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখন প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছেন। সংবাদদাতারা বলছেন&comma; নেতানিয়াহু এবং তার ডানপন্থী সরকার এ চাপ সামাল দিতে পারবে কিনা—সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>দেশটিতে প্রায় সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। দেশজুড়ে ডাকা ধর্মঘটের কারণে বিমান ও সমুদ্র বন্দর অচল হয়ে পড়েছে&comma; ব্যাংক ও দোকানপাটও বন্ধ। ডাক্তার ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে।<&sol;p>&NewLine;<p>এর আগে সংস্কারের উদ্যোগ বন্ধ করার ডাক দিয়ে বরখাস্ত হয়েছেন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনীও এর বিরোধিতা করছে&comma; এমনকি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই পরিকল্পনা পরিত্যাগ করার জন্য। এই বিরোধিতাকারীরা বলছেন&comma; বিচার বিভাগে যেসব পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে—তা ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে।<&sol;p>&NewLine;<p>এক কথায়&comma; ইসরায়েল রাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।<&sol;p>&NewLine;<p><strong>মন্ত্রীদের পদত্যাগের হুমকি<&sol;strong><br &sol;>&NewLine;কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে&comma; তীব্র বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু শিগগীরই এ পরিকল্পনা &OpenCurlyQuote;কয়েক সপ্তাহের জন্য’ স্থগিত করার করার কথা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। তবে এ খবর নিশ্চিত করা যায়নি।<&sol;p>&NewLine;<p>বিবিসির ডেভিড গ্রিটেন অবশ্য জানিয়েছেন&comma; এরকম কিছু করতে গেলে বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন এবং উগ্র দক্ষিণপন্থী নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির পদত্যাগ করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। সরকারি কোয়ালিশন ভেঙে পড়ার ঝুঁকির মুখে নেতানিয়াহু তার ঘোষণা বিলম্বিত করেছেন—এমন খবরও বেরিয়েছে কিছু সময় আগে।<&sol;p>&NewLine;<p>বেন-গভির &OpenCurlyQuote;অরাজকতার কাছে নতি স্বীকার না করে’ প্রস্তাবিত আইন সংস্কারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>ইসরায়েলি বিশ্লেষক অধ্যাপক ইউভাল শানি বিবিসিকে বলেছেন&comma; &OpenCurlyQuote;এটা এখন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জীবন রক্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার সামনে এই সংস্কার পরিকল্পনা স্থগিত করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।’<&sol;p>&NewLine;<p><strong>&OpenCurlyQuote;দায়িত্বশীল’ হওয়ার ডাক<&sol;strong><br &sol;>&NewLine;সোমবার সকালের দিকে টুইটারে এক বার্তা পোস্ট করে নেতানিয়াহু সকল পক্ষের প্রতিবাদকারীদের &OpenCurlyQuote;দায়িত্বশীল আচরণ করা’ এবং &OpenCurlyQuote;সহিংসতা থেকে বিরত থাকার’ ডাক দিয়েছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>এমন এক সময় তার এই আহ্বানের কথা জানা গেল যখন ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলেছে&comma; খুব শিগগীরই উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা আছে। কারণ উগ্র দক্ষিণপন্থী কর্মীরাও সোমবার কেনেসেটে বিক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p><strong>নেতানিয়াহুর বিতর্কিত পরিকল্পনায় কী আছে&quest;<&sol;strong><br &sol;>&NewLine;এই সংস্কার পরিকল্পনার মধ্যে সরকারকে বিচারক নিয়োগকারী কমিটির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া আইনপ্রণেতাদের কেউ দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য হলে&comma; তাকে অপসারণ করাটা আদালতের জন্য আগের চাইতে কঠিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা মনে করে&comma; এ বিধানটি ক্ষমতাসীন নেতা নেতানিয়াহুর স্বার্থ বিবেচনা করে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এই মূহুর্তে দুর্নীতির একটি মামলা চলমান রয়েছে। তিনি বলেছেন&comma; সংস্কারের প্রস্তাব এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তা আদালতের ক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ করতে পারে।<&sol;p>&NewLine;<p>এতে ইসরায়েলের হাইকোর্টের ক্ষমতা কমানো হবে এবং পার্লামেন্টের সদস্যরা এমন সব আইন পাস করতে পারবেন&comma; যা আদালত এর আগে খারিজ করেদিয়েছে বা কার্যত অসাংবিধানিক বলে মত দিয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন বলেন&comma; নতুন পরিকল্পনায় ইসরায়েলের ১২০ আসনের পার্লামেন্ট বা কেনেসেটের ক্ষমতা এমনভাবে বাড়বে যে তারা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ৬১ জন এমপির সমর্থন পেলেই সুপ্রিম কোর্টের যে কোনো সিদ্ধান্ত উল্টে দিতে পারবেন।<&sol;p>&NewLine;<p>পরিকল্পনায় আরো বলা হয়&comma; সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা আরো গুরুত্বপূর্ণ করা হবে। মন্ত্রীরা তাদের নিজস্ব আইন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারবেন ।<&sol;p>&NewLine;<p><strong>নেতানিয়াহুর পেছনে উগ্র ডানপন্থী দল<&sol;strong><br &sol;>&NewLine;বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর আগে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ১২ বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে এবার তিনি যে সরকার গড়েছেন&comma; তাকে বলা হচ্ছে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে উগ্র ডানপন্থী সরকার। তার কোয়ালিশনে অংশীদার দলগুলোর মধ্যে আছে অতি উগ্র ডানপন্থী&comma; কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং অত্যন্ত গোঁড়া ইহুদি রাজনৈতিক দলগুলো।<&sol;p>&NewLine;<p>ক্ষমতায় এসেই এ সরকার ঘোষণা করে&comma; অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি নির্মাণ সম্প্রসারণ হচ্ছে তাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।<&sol;p>&NewLine;<p>ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছিলেন। আর ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল জর্দান নদীর পশ্চিম তীর&comma; গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়।<&sol;p>&NewLine;<p>আন্তর্জাতিক আইনে এখানে ইহুদি বসতি নির্মাণ অবৈধ হলেও ইসরায়েল এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ ইহুদির জন্য বসতি নির্মাণ করেছে। শুধু তা-ই নয়&comma; আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে&comma; নেতানিয়াহু কোয়ালিশন গঠনের জন্য একটি কট্টরপন্থী দলকে এমন অঙ্গীকারও করেছেন যে তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের অংশে পরিণত করবেন। অঞ্চলটিতে প্রায় আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি বাস করেন।<&sol;p>&NewLine;<p>সূত্র &colon; বিবিসি<&sol;p>&NewLine;