কানাডার দুই প্রধান দলের নেতা লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডো (বাঁয়ে) এবং কানজারভেটিভ পার্টির এরিন ও তুলে

মনিস রফিক : আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর কানাডায় ৪৪তম ফেডারেল নির্বাচনকে সামনে রেখে কানাডার প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখন নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারে নেমে গেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কিছুটা আচমকা নির্বাচনী ঘোষণায় লিবারেল পার্টি ছাড়া অন্যান্য দলগুলি সমালোচনায় মুখর হলেও নিয়ম অনুযায়ী তারা নির্বাচনী প্রচারণায় তৎপর হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির সাথে বিরোধী দল কনজারভেটিভের জনপ্রিয়তায় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রবল আগ্রহ তৈরি করেছে। নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে, যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রত্যাশায় লিবারেল পার্টি সরকার পরিচালনায় নিজেদের মেয়াদ শেষের প্রায় দুই বছর আগে নির্বাচনের আয়োজন করেছে, সেটা বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাল্লাটা লিবারেলদের দিকে না এসে কনজারভেটিভদের দিকেও যেতে পারে।

গত শনিবার সকালেপ্রকাশিত টেলিভিশন চ্যানেল সিটিভি নিউজ এবং সংবাদপত্র দ্য গেøাব এন্ড মেইল এর জন্য করা ন্যানোস রিসার্চ এর এক জরীপে দেখা গেছে, আগস্টের ১২ তারিখ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে কানজারভেটিভদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে শতকরা ৩.৯ ভাগ। গত শনিবার ন্যানোস রিসার্চ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান উপাত্ত বিজ্ঞানী নিক ন্যানো সিটিভি নিউজ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, কানাডার ফেডারেল নির্বাচনের নির্বাচনী হাওয়া এখন প্রধান দুই দলের পালেই এমনভাবে লেগেছে যে এবারের নির্বাচন হবে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের। অতি স¤প্রতি সময়ের নির্বাচনী জরীপে দেখা গেছে, শতকরা ৩৪.৪ভাগ জনপ্রিয়তা নিয়ে লিবারেল পার্টি এখনও কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছে। আগস্টের ১২ তারিখের সেই জরীপের ফলাফলে কনজারভেটিভদের জনপ্রিয়তা ছিল শতকরা ৩২.৩ ভাগ। জরীপে দেখা গেছে, এনডিপির জনপ্রিয়তা শতকার ২০.৭ ভাগ থেকে নেমে ২০.২ তে এসে দাঁড়িয়েছে এবং গ্রীন পার্টির শতকরা ৭.৯ থেকে ৪.৩ এ এসে নেমেছে। আর পার্টি ব্লক কুইবেকের জনপ্রিয়তা বর্তমানে শতকরা ৬.১ ভাগ এবং পিপলস পার্টির শতকরা ১.৯ ভাগ।

গত শনিবারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, কানাডার আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিকাংশই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডোর দিকে নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন, তবে অধিকাংশের ইতিবাচক মন্তব্য পড়েছে কানজারভেটিভ পার্টির প্রধান এরিন ও তুলে’র দিকে। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, করোনা মহামারী পরবর্তী কানাডা এবং এর জনগণ আগামীতে কোন দিকে যাবে তা এখন অনেকটায় নির্ভর করছে কানাডার দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের দুই প্রধানের যে কোন একজনের হাতে।