বিনোদন ডেস্ক : দুর্নীতির তালিকায় একের পর এক নাম জড়াচ্ছে ভারতীয় অভিনেতাদের। সাম্প্রতিক সময়ে মহাদেব অনলাইন বেটিং মামলা ঘিরে বেশ আলোচনা ভারতজুড়ে। আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকার এই দুর্নীতির মামলায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে এসেছে টাইগার শ্রফ, সানি লিওন, পুলকিত সম্রাট সহ একাধিক বলিউড তারকা ও ক্রীড়াবিদের নামও। সম্প্রতি সেই মামলার তদন্তে বলিউড তারকা রণবীর কাপুরকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

এবার তদন্তে ডাক পড়ল বলিউড তারকা হুমা কুরেশি, কপিল শর্মা, হিনা খানও শ্রদ্ধা কাপুরের।

প্রতিবেদন অনুসারে, মহাদেব অ্যাপের সাথে জড়িত অনলাইন বেটিং মামলার সাথে অভিনেত্রীর সংযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) থেকে একটি সমন পাঠানো হয়েছে শ্রদ্ধা কাপুরকে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) অভিনেত্রীকে ইডি’র সামনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অভিযোগ করা হয়েছে যে তিনি অ্যাপটিকে সমর্থন করেছিলেন এবং এই সমর্থনের জন্য তিনি যে অর্থ পেয়েছেন তা অবৈধ উৎস থেকে এসেছে কিনা তা তদন্ত করা হবে।

এর আগে মহাদেব অ্যাপের প্রচারের অভিযোগে এবং গত সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত অ্যাপের সাফল্য পার্টিতে হাজির থাকার বিষয়ে তদন্ত করতে ইডির কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে হুমা কুরেশি, হিনা খান এবং কপিল শর্মাকে।

তার আগে রণবীর কাপুরকেও ডাকা হয় ইডির কার্যালয়ে। যদিও রণবীর কাপুরকে তদন্তের জন্য ডাকা হয়নি বলে জানিয়েছে ইডি। তবে এই মামলার বিষয়ে সহায়তা চেয়েই অভিনেতাকে ডাকা হয়েছে।
মহাদেব অ্যাপের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্ত পরিধি আরও প্রসারিত হচ্ছে।

বিনোদন শিল্পের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অ্যাপের প্রচার এবং সংস্থার সাথে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্রীড়া জগতের অনেক তারকাও ডাক পেয়েছে ইডির। এই দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির নজরে রয়েছেন একগুচ্ছ বলিউড অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী। আতিফ আসলাম, নেহা কাক্কার, রাহাত ফাতেহ আলি খানের মতো গায়কদের দিকেও নজর রেখেছে ইডি। আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে একে একে সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।

চলতি বছরেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিয়ে করেন মহাদেব অনলাইন গেমিং অ্যাপের কর্ণধার সৌরভ চন্দ্রকর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেই বিলাসবহুল বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন একাধিক তারকা। তখনই ওই অ্যাপের সফলতার পার্টিও আয়োজন করা হয়েছিল। সেই পার্টিতে ঠিক কী ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়েছিল, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকার এই আর্থিক দুর্নীতির মামলার মূল কেন্দ্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সেখানেই মহাদেব অনলাইন বুকিং অ্যাপের হেডকোয়ার্টার। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, টাকা পাচারের জন্য ভারতের বস্তিবাসীদের প্রতারণার ফাঁদ সাজিয়ে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কন্ট্রোল ওই অ্যাপের এজেন্টরা নিয়ে নিতেন।

ভাড়ার অ্যাকাউন্ট থেকে কাস্টমারের টাকা পৌঁছে দেওয়া হতো সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলিতে। এভাবেই বেটিং অ্যাপকে ঢাল করে ভিলাইয়ের এক সামান্য ফলের রস বিক্রেতা সৌরভ চন্দ্রকার ফুলে ফেঁপে উঠেন। করোনার পরই সৌরভের এই কেলেঙ্কারি ডানা মেলে। এখন ইডির ওয়ান্টেড লিস্টে রয়েছেন সৌরভ ও তার সহযোগী রাজ গুপ্তা।

সূত্র : পিঙ্কভিলা