নতুন চিকিৎসায় ক্যান্সার মুক্ত হলো কিশোরী

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> নতুন ও বৈপ্লবিক ধরনের এক চিকিৎসার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ডাক্তাররা এই প্রথমবারের মতো নিরাময়ের অযোগ্য ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া রোগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তারা ব্যবহার করেছেন অত্যাধুনিক সেল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি।<&sol;p>&NewLine;<p>এই পদ্ধতিতে কোষের জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে সেগুলো রোগীর দেহের ক্যান্সার সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>এসব কোষ ক্যান্সার সেলগুলোকে টার্গেট করে আক্রমণ চালায় ও ভালো কোষের ক্ষতি না করেই সেগুলোকে নির্মূল করে।<&sol;p>&NewLine;<p>এলিসা নামের এক কিশোরীর দেহে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালিয়ে তার শরীর থেকে ক্যান্সার দূর করা হয়েছে। কিন্তু এর আগে তার দেহে লিউকেমিয়ার প্রচলিত সব চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছিল।<&sol;p>&NewLine;<p>কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবে নতুন ওষুধটি প্রয়োগের পর তার দেহে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে এবং তার দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। এলিসা এখন ক্যান্সার থেকে মুক্ত।<&sol;p>&NewLine;<p>এলিসার বয়স মাত্র ১৩। সবশেষ পরীক্ষায় তার দেহে ক্যান্সারের লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।<&sol;p>&NewLine;<p>চিকিৎসকরা বলছেন এলিসার দেহে জিনগত পরিবর্তনের যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে&comma; তা চিকিৎসা বিজ্ঞানে খুব দ্রুত অগ্রগতি ঘটছে এবং নানা রোগের চিকিৎসায় এই পদ্ধতির সফল হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর এই পদ্ধতির নাম &OpenCurlyQuote;বেস এডিটিং।<&sol;p>&NewLine;<p>গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের ডাক্তাররা এই পদ্ধতিতেই এলিসাকে লিউকেমিয়া থেকে সারিয়ে তুলেছেন। ওষুধ প্রয়োগের ছয় মাস পরে দেখা গেছে এলিসার শরীরে ক্যান্সার শনাক্ত করা যাচ্ছে না।<&sol;p>&NewLine;<p>তবে রোগটি আবারও ফিরে আসে কি না এই আশঙ্কায় তাকে এখনো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরের মেয়ে এলিসা। বয়স ১৩। গত বছরের মে মাসে তার দেহে টি-সেল একিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া ধরা পড়ে।<&sol;p>&NewLine;<p>টি-সেল হচ্ছে শরীরের অভিভাবকের মতো। এই সেল শরীরের ভেতরে হুমকি সৃষ্টিকারী উপাদান ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু এলিসার দেহে ক্যান্সার সেলগুলো বিপদজনক হয়ে উঠেছিল এবং চলে গিয়েছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে।<&sol;p>&NewLine;<p>তার দেহে ক্যান্সারের কোষগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল। কেমোথেরাপি ও বোন-মেরো ট্রান্সপ্লান্ট করেও সেগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছিল না।<&sol;p>&NewLine;<p>এলিসা বলেছেন&comma; আমি হয়তো আসলে মারাই যেতাম। তার মা কিওনা বলেন&comma; গত বছর তিনি ভেবেছিলেন হয়তো মেয়ের সঙ্গে শেষ ক্রিসমাস পালন করতে যাচ্ছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>কিন্তু এরপরে যা ঘটেছে কয়েক বছর আগেও তার সবই ছিল অচিন্তনীয়। জেনেটিকসের অসাধারণ অগ্রগতির কারণেই এলিসার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>এজন্য গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের ডাক্তাররা যে বেস এডিটিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন সেটি মাত্র ৬ বছর আগে উদ্ভাবন করা হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা জেনেটিক কোডের একটি বিশেষ অংশকে আকারে বড় করেন এবং পরে এর মলিকুলার বা আণবিক গঠনে পরিবর্তন আনেন। এভাবে এর জেনেটিক নির্দেশনা বদলে দেওয়া হয়।<&sol;p>&NewLine;<p>একজন দাতার কাছ থেকে সুস্থ টি-সেল নিয়ে তাতে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে সেগুলো এলিসার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়&comma; যা তার দেহের ক্যানসার সেলগুলোকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।<&sol;p>&NewLine;<p>টি-সেলের বেস এডিটিং-এর কারণে এসব সেল এলিসার দেহের সুস্থ কোষেরও কোনো ক্ষতি করবে না।<&sol;p>&NewLine;<p>বিজ্ঞানীরা বলছেন&comma; এই চিকিৎসা পদ্ধতি সফল হলে দ্বিতীয় বোন-মেরো প্রতিস্থাপনের পর এলিসার দেহের টি-সেলসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনর্গঠিত হবে।<&sol;p>&NewLine;<p>ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের অধ্যাপক ওয়াসিম কাসিম বলেছেন&comma; এলিসাই প্রথম রোগী যাকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি বলেন&comma; জেনেটিক মেনিপুলেশন বিজ্ঞানে খুব দ্রুত অগ্রগতি ঘটছে এবং নানা ধরনের রোগ সারিয়ে তোলার ব্যাপারে এর অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>সূত্র&colon; বিবিসি<&sol;p>&NewLine;<p>&nbsp&semi;<&sol;p>&NewLine;