Home কানাডা খবর নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে কুল-কিনারা পাচ্ছেন না কানাডিয়ান বিজ্ঞানীরা

নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে কুল-কিনারা পাচ্ছেন না কানাডিয়ান বিজ্ঞানীরা

শাহনুর চৌধুরী : কানাডাজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ভ্যাকসিনেড, নন-ভ্যাকসিনেড শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ প্রায় সব ধরনের মানুষই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই বলছেন করোনার এই ধরনটি খুব বেশি মাত্রায় সংক্রামক। কিন্তু এর মূল কারণ কী সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। বলা যায়, কানাডিয়ান বিজ্ঞানীরা ওমিক্রন নিয়ে কোনো ক‚ল-কিনারা পাচ্ছেন না। তারা নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটির ‘হুমকি’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়ার জন্য ছুটছেন। এটি কত দ্রæত ছড়াতে পারে, এটি এত বেশি সংক্রমক কেন, এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের জীবনের হুমকি কতটা মারাত্মক এসব প্রশ্নের উত্তর তারা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আরো কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। স¤প্রতি কানাডায় বেশকিছু ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

আবার অনেকে সন্দেহের তালিকায় আছেন। আক্রান্তদের অনেকেরই আন্তর্জাতিক ভ্রমণের রেকর্ড নেই, অর্থাৎ তারা অন্য কোন দেশ থেকে আক্রান্ত হয়ে কানাডায় প্রবেশ করেনি। তাই সংক্রমক বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ যে, নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি ইতোমধ্যে কানাডায় ছড়াতে শুরু করেছে।

অন্টারিওর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে স্কুল চাইল্ড কেয়ার সেন্টারও চার্চে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের স্বজনেরাও এখন উচ্চ ঝঁকির মধ্যে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ডেনমার্ক ও ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে এই ভ্যারিয়েন্টটির ‘সা¤প্রদায়িক সংক্রমণের’ (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা খুবই উদ্বেগের কারণ। যদিও এটি প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছিল, তবে মনে করা হয় যে, সেখানে চিহ্নিত হওয়ার আগে ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল।

তবে আশার কথা এই যে, কানাডাসহ বিশ্বজুড়ে এখন করোনা বিষয়ক প্রযুক্তির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। এক বছর আগে আলফা অথবা ডেল্টা ভেরিয়েন্ট নিয়ে যতটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল এখন সেই শঙ্কা অনেকটাই কম।

কানাডিয়ান কোভিড জিনোমিক্স নেটওয়ার্কের (কানকোজেন) নির্বাহি পরিচালক কেটালিনা লোপেজ বলেছেন, ‘আমরা ভাইরাসটির জিনোমিক সার্ভিলেন্স’ ক্ষমতা বের করতে গিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ব্যয় করে ফেলেছি। তারপরও নতুন ভ্যারিয়েন্টটির সম্পর্কে বিস্তারিত বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা এ বিষয়ে এখনো প্রাথমিক অবস্থাতেই আছি।’
ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার মলিকিউলার ভাইরোলজিস্ট এবং করোনা ভাইরাস ভেরিয়েন্ট রেপিড রেসপন্স নেটওয়ার্কের প্রধান মার্ক আন্দ্রে লেংলোইস বলেন, সারাদেশের ল্যাবগুলোতে ওমিক্রনের উপর ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। কোথাও নতুন কোন তথ্য বা সূত্র পেলেই সেগুলো আগের ফলাফলগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, যথেষ্ট এপিদেমিওলজিস্ট ইমিউনোলজিস্ট, ভাইরোলজিস্ট ও মডেলার আছে তারা সবাই একসাথে কাজ করছে কানাডা এখন করোনার তথ্য নিয়ে আরো দ্রুত কাজ করতে সক্ষম। আমাদের এখন প্রধান কাজ হচ্ছে, যত দ্রæত সম্ভব ভাইরাসটির বিস্তার রোধের উপায় খুঁজে বের করা।

লেংলোইস বলেন, সাউথ আফ্রিকা থেকে যে প্রাথমিক তথ্যগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনে রাখতে হবে, সেখানকার প্রেক্ষাপট আর কানাডার পেক্ষাপট এক নয়। কানাডার পরিবেশে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ওমিক্রনের ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা নির্ধারণ করতে সময় লাগবে। সূত্র : সিবিসি

Exit mobile version