অনলাইন ডেস্ক : কানাডার নর্থ ওয়েস্ট টেরিটরিতে (এন ডবিøউটি) বসবাসরত আদিবাসীরা নানা কারণে এতদিন করোনার টিকা না নিলেও এখন সেখানে টিকার হার বাড়ছে। একদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি অন্যদিকে টিকা নেয়ার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণার ফলে এখন সেখানে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। এতদিন টিকা নিয়ে নানান ভয়ভীতি ও কুসংস্কারের ফলে সেখানকার আদিবাসীরা টিকা নেয়া থেকে বিরত ছিল। বিশেষ করে ‘টিকা নিলে দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা হবে’ বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় আদিবাসীরা টিকার প্রতি আগ্রহী ছিল না। স¤প্রতি ওই এলাকায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় এখন তারা টিকার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।

এন ডব্লিউটির আদিবাসী নারী জেসিকা দেলেরি বলেন, ‘প্রথম যখন টিকার কথা শুনি তখন আমি এটি নেয়ার বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ছিলাম। গর্ভবর্তী অবস্থায় আমি এটি নিতে পারব কি-না তা জানতে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। তারা একেক জন আমাকে একেক রকমের পরামর্শ দিচ্ছিলেন।’ পাঁচ সন্তানের জননী জেসিকা আগামী মাসে তার ৬ষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন। জেসিকা আরো বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে এই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়েই আমি চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শে আমি টিকা গ্রহণ করি। টিকা নেয়ার সময় কিছুটা ভয় পেলেও এখন আমি ভালই আছি। কোন ধরনের সমস্যা অনুভব করছি না। আমার দেখাদেখি আমার স্বামী ও অন্যান্য স্বজনেরাও টিকা নিয়েছে। এখন আমাদের পুরো পরিবারই নিরাপদ বোধ করছি। তিনি বলেন, গুজবে কান না দিয়ে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য সবারই টিকা গ্রহণ করা উচিত। এন ডব্লিউটি বিশপ প্রধান ক্লিফোর্ড ড্যানিয়েল জানান, করোনা মহামারির বিস্তার রোধে সবাইকে টিকা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়স্কদের জন্য ফাইজার এবং ১৮ থেকে তদুর্ধদের জন্য মর্ডানার টিকা দেয়া হচ্ছে। সিবিসির ভ্যাকসিন ট্র্যাকারের হিসাব মতে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে ৭৬ শতাংশ লোক দুই ডোজ এবং ৮১ শতাংশ এক ডোজ টিকা নিয়েছে। একমাস আগে এই হার ছিল মাত্র ২৯% ও ৫৭%। সূত্র : সিবিসি