সুহেল ইবনে ইসহাক: নির্বাচনের পরাজয়ের পর এরিন ও’টুল সম্পর্কে কী করবেন তা নিয়ে কনজারভেটিভরা বিভক্ত। কনজারভেটিভ নেতা এরিন ও’টুলের জাস্টিন ট্রুডো সরকারের অবসান ঘটাতে ব্যর্থতা দলের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে, ফলে দলের মধ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তনের চিন্তা করা হচ্ছে। (খবর: সি.বি.সি. নিউজ)
এরিন ও’টুল বৃহত্তর টরন্টো এলাকায় কনজারভেটিভ পার্টিকে নিয়ে প্রবেশের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টি বাস্তবে এই ভোট সমৃদ্ধ অঞ্চলে আসন হারিয়েছে। পার্টিকে রাজনৈতিক কেন্দ্রের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য ও’টুলের প্রচেষ্টা আরও কিছু ডানপন্থী সমর্থকদের বিচ্ছিন্ন করেছিল-যাদের মধ্যে কেউ কেউ পিপলস পার্টি অব কানাডা (পিপিসি)-কে ভোট দিয়েছেন। তবুও, নির্বাচনের পোস্ট মর্টেমের এই প্রাথমিক পর্যায়ে দলের অন্যান্য সদস্যরা ও’টুলকে ক্ষমা করতে বেশি আগ্রহী বলে মনে হয়।
কনজারভেটিভদের নির্বাচনী পারফরম্যান্সে কিছু রূপার আস্তরণ রয়েছে। দলটি আটলান্টিক কানাডায় আসন তুলেছে, ট্রæডোর তিনজন মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীকে নামিয়ে এনেছে, কুইবেকে উন্নতি করেছে এবং দলের ডান দিকের পিপিসির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্তে¡ও অন্টারিওতে ভোটের ব্যবধান উল্লেখযোগ্যভাবে বন্ধ করেছে।
অ্যান্ড্রæ ব্রান্ডার একজন দীর্ঘদিনের দলীয় সংগঠক যিনি সাবেক ডেপুটি কনজারভেটিভ নেতা লিসা রাইটের চিফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন যে, শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের পর ও’টুল কে বাদ দেয়া দলের জন্য “একটি বিপজ্জনক নজির” স্থাপন করবে। ব্র্যান্ডার বলেন যে, যদিও একটি জয় স্পষ্টতই একটি ক্ষতির চেয়ে ভাল, ও’টুল কানাডিয়ানদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অল্প সময়ের সাথে যুক্তিসঙ্গতভাবে ভাল করেছে। ও’টুল, যিনি গত গ্রীষ্মে মহামারী সংকটের মাঝামাঝি সময়ে নেতৃত্ব লাভ করেছিলেন, ৩৬ দিনের এই নির্বাচনী অভিযান শুরুর আগে মূলত সবকিছুই অজানা ছিল।